Thank you for trying Sticky AMP!!

মাস্ক পরলে ফুল, নইলে জরিমানা

অভিযান চলাকালে মাস্ক পরা যাত্রী, চালক, ক্রেতা-বিক্রেতা ও পথচারীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা জেলা শহরে

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নেত্রকোনার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, সিএনজি স্টেশন, হাটবাজারসহ জনসমাগম স্থলে অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন। অভিযান চলাকালে মাস্ক পরা যাত্রী, চালক, ক্রেতা-বিক্রেতা ও পথচারীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। আর মাস্কবিহীন ব্যক্তিদের করা হচ্ছে জরিমানা ও দেওয়া হচ্ছে মামলা। অবশ্য কেউ কেউ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে মাস্কও পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা শহরের মোক্তারপাড়া সেতু এলাকা, ঘুষের বাজার, পারলা এলাকার ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, সিএনজি স্টেশন, নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের ব্র্যাক কার্যালয়ের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সোহেল মাহমুদ ও সহকারী কমিশনার মো. রেজাউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেন, ট্রাফিক পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যমালেন্দু, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সোহেল মাহমুদ বলেন, যাঁরা মাস্ক পরে চলাচল করছেন, যাঁরা গাড়ির কাগজপত্র, ফিটনেস, যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার ইত্যাদি ঠিক রেখে গাড়ি চালাচ্ছেন, তাঁদের প্রত্যেককে একটি করে রজনীগন্ধা ফুল দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের মাস্ক নেই, তাঁদের কাউকে নতুন মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি অনেকের নামে দেওয়া হচ্ছে মামলা। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্যই এমন উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতায় এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে মাস্ক পরা যাত্রী, চালক, ক্রেতা-বিক্রেতা ও পথচারীদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। মাস্কা ছাড়া ব্যক্তিদের করা হয়েছে জরিমানা। অবশ্য অনেককে বিনা মূল্যে মাস্কও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নেত্রকোনা জেলা শহরে

জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের হার কিছুটা বেড়ে গেছে। সংক্রমণ বিস্তার রোধে ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বুধবার থেকে জেলার ১০টি উপজেলার ৮৬টি ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে অন্তত ১ লাখ ৩৫ হাজার মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। এতে উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যকর্মী, জনপ্রতিনিধি, এনজিওকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্পৃক্ত আছে। এবার ওয়াজ মাহফিল, কীর্তন, বিভিন্ন ধরনের যাত্রাপালা, বাউলগানের আসর সীমিত আকারে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া বলেন, নেত্রকোনায় ১০ এপ্রিল থেকে বুধবার পর্যন্ত ৭৮৩ জনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।