Thank you for trying Sticky AMP!!

মা মাছ ডিম ছেড়েছে হালদা নদীতে

হালদা নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে।

হালদা নদীতে কার্প–জাতীয় (রুই, কাতলা ও মৃগেল) মা মাছ ডিম ছেড়েছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে নয়টা থেকে নদীতে জেলেদের জালে বাড়তে থাকে ডিম পাওয়ার পরিমাণ। 


হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন আজ রোববার ভোরে প্রথম আলোকে বলেন, হালদা নদীতে মা মাছের ডিম দেওয়ার খবর পান গতকাল শনিবার রাত পৌনে নয়টার সময়। ঘোনা এলাকায় রোসাংগির নামের এক ডিম সংগ্রহকারী তাঁকে মুঠোফোনে ডিম পাওয়ার সংবাদটি প্রথম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নদীতে প্রতিটি নৌকায় এক থেকে দুই বালতি করে ডিম পেয়েছেন সংগ্রহকারীরা।

সরেজমিনে গতকাল রাত দশটা থেকে দিবাগত রাত আড়াইটা পর্যন্ত হালদা নদীর রামদাশ মুন্সিরহাট, নাপিতের ঘাট ও খলিফার ঘোনা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শত শত নৌকা নিয়ে মানুষ নদীতে জাল ফেলে ডিম সংগ্রহ করছেন। রাত যত বাড়ে, তত মানুষের হাঁকডাক বাড়তে থাকে নদীতে।

ডিম সংগ্রহকারী বাঁচা মিয়া গতকাল রাত একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, রামদাশ মুন্সিরহাট এলাকায় নদী থেকে এখন পর্যন্ত তিনি দুই বালতি ডিম পেয়েছেন। গতকাল সকালে নৌকা নিয়ে নদীতে নেমেছেন।

হাটহাজারী উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম আজ ভোর পাঁচটার সময় প্রথম আলোকে বলেন, সংগ্রহকারীরা হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট হ্যাচারিতে ৬০টি নৌকায় ১০০ বালতি ডিম ও শাহ মাদারী হ্যাচারিতে ৩০টি নৌকায় ৬০ বালতি ডিম সংগ্রহ করেছেন। প্রতি বালতির ওজন ১৫ কেজি। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ কেজি ডিম দুটি হ্যাচারিতে এসেছে। সময় যত বাড়বে, ডিমের পরিমাণ তত বাড়বে বলে তিনি জানান।

হালদা গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া আজ ভোরে প্রথম আলোকে বলেন, হালদা নদীতে কার্প–জাতীয় মা মাছ ডিম ছেড়েছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় মা মাছ কম ডিম ছেড়েছে। এবার ২৩০টি নৌকায় প্রায় ৫০০ মানুষ নদী থেকে ডিম সংগ্রহ করেছেন।