Thank you for trying Sticky AMP!!

মিঠামইনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে ভয়াবহ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় পারভীন (১৩) নামে এক কিশোরী মারা গেছে। পারভীন প্রায় ৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে আজ শনিবার সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার চাচা মুক্তার হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে এ ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হয়ে দুজন মারা গেল। এর আগে এ ঘটনায় গত রোববার পারভীনের দাদি সিফাই নেছা (৬২) মারা যান। চিকিৎসাধীন আরও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে আজ পরিবার থেকে জানানো হয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাটি গত শনিবারের (২৪ অক্টোবর)। উপজেলার কাটখাল গ্রামের এই ঘটনায় ওই গ্রামের আবদুস সালাম ও তাঁর ৫ ছেলের একান্নবর্তী পরিবারের ১০ জন সদস্য অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁরা হলেন আবদুস সালামের তিন ছেলে কামাল মিয়া (৩২), জামাল মিয়া (২৭), আনোয়ার (২৫), আবদুস সালামের স্ত্রী সিফাই নেছা (৬০), ছোট মেয়ে তাসলিমা (২০), তাসলিমার দুই শিশুসন্তান উম্মে হানী (৩) ও তিন মাস বয়সী উম্মে হানিফা, আবদুস সালামের ছেলে আবদুল আলীর দুই মেয়ে পারভীন (১৩), তহুরা বেগম (১০) এবং বড় ছেলে মৃত আক্তার হোসেনের মেয়ে জুয়েনা বেগম (২০)। ঘটনার সময় আবদুস সালাম ও তাঁর এক ছেলে মুক্তার হোসেন বাড়ির বাইরে থাকায় অক্ষত থাকেন। এর মধ্যে সিফাই নেছা ও তাঁর নাতি পারভীন মারা গেছেন।

দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে ৭ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকি ৪ জন এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২৪ অক্টোবর দুপুরে মিঠামইনের কাটখালে বসতঘরের গ্যাসের চুলায় রান্না করার জন্য আবদুস সালামের স্ত্রী সিফাই নেছা দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে চুলায় আগুন ধরান। এর আগেই সিলিন্ডার গ্যাসের পাইপের লিক থেকে যে গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা জানা ছিল না তাঁর। যে কারণে চুলায় আগুন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরে থাকা নারী-পুরুষ-শিশুসহ ১০ জন অগ্নিদগ্ধ হন। আহত লোকজনকে প্রথমে বাজিতপুরের ভাগলপুরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ৭ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুজন মারা গেছেন। বাকি ৪ জন এখনো সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আবদুস সালামের ছেলে মুক্তার হোসেন আজ শনিবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাতিজি পারভীন অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রায় সাত দিন যন্ত্রণা ভোগ করে আজ সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায়। এর আগে এ ঘটনায় তাঁর মা মারা গেছেন। এখনো তাঁদের পরিবারের চারজন সেখানে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে তাঁর ছোট ভাই কামাল মিয়া ও ছোট বোন তাসলিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তিনি জানান।

Also Read: সিলিন্ডার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু, চারজন আশঙ্কাজনক