Thank you for trying Sticky AMP!!

মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ এ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে

শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিচার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের মুক্তির মোড়ে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধনে হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ছড়িয়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানান বক্তারা। এ সময় বক্তারা শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের ঘটনায় যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডিএম আবদুল বারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন একুশে পরিষদের উপদেষ্টা ও নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিন, সংগঠনের সহসভাপতি মোস্তফা আল মেহমুদ, প্রতাপ চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে একটি জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র বারবার বিভিন্নভাবে উসকানিমূলক কথা বলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে এ চক্র এখনো সক্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এ কুচক্রী মহলের বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে এ দেশের সংখ্যালঘু ধর্মের মানুষকে মুসলিমবিদ্বেষী করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আবদুল বারী বলেন, শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল ও আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চক্রান্ত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে অপরাধীদের সহায়তা করা হবে। এতে তারা উৎসাহ পাবে। ভবিষ্যতে তারা আবারও এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে।

গত ২২ মার্চ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলকে আটক করা হয়। পরে ১০ এপ্রিল তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়। অন্যদিকে ৮ এপ্রিল নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ে ‘হিজাব পরায়’ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে বলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তবে পরে প্রশাসনের তদন্তে বেরিয়ে আসে, হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের পেটানো হয়নি। বরং বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে না আসায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পিটুনি দেওয়া হয়েছিল।