Thank you for trying Sticky AMP!!

মেয়র প্রার্থী নিজাম স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করেছেন

সংবাদ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ধর্মসাগর পাড়ে নিজ বাসায়

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ওরফে কায়সার। নিজাম উদ্দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটায় নগরের বাদুরতলা এলাকার ধর্মসাগরপাড়ের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

আগামী ১৫ জুন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি একটি যৌক্তিক আন্দোলনের কারণে এ অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপির এ সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে আমি সমর্থন করি। কিন্তু কুমিল্লার হামলা মামলার শিকার নির্যাতিত বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মী ও কুমিল্লার জাতীয়তাবাদী শক্তির অনুরোধে আমাকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। আমি দলীয় পদ থেকে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আমার প্রিয় দল বিতর্কিত হবে বলে বিশ্বাস করি। তাই দলের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে আমি কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা মহানগর সভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।’

এর আগে সকাল ১০টায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই করা হয়। এতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘দল যেন বিব্রত অবস্থায় না পড়ে সে জন্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। কুমিল্লা নগরবাসী ও দলের নেতা-কর্মীদের স্বার্থে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কুমিল্লার মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে আমাকে রায় দেবেন। এ নির্বাচন গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নির্বাচন। ভয়ের কুমিল্লাকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর নির্বাচন।’