Thank you for trying Sticky AMP!!

মেয়াদোত্তীর্ণ স্টিয়ারিং কমিটির গঠনতন্ত্র–বহির্ভূত সভা করার অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজে’–এর কয়েকজন সদস্য অভিযোগ করেছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বর্তমান স্টিয়ারিং কমিটি গঠনতন্ত্র–বহির্ভূতভাবে সভা করেছে। আজ মঙ্গলবার ১১ শিক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক এম মজিবুর রহমানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অভিযোগ করেন।

চিঠিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে দলীয় আহ্বায়ক ও স্টিয়ারিং কমিটির ২০ সদস্য নির্বাচিত হন। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ বছরের ৩০ জুন তাঁদের সবার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু দলীয় বিধিবিধান না মেনে গত ২০ আগস্ট ও আজ মঙ্গলবার স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।
চিঠিতে এম মজিবুর রহমানের উদ্দেশে বলা হয়, ‘গত ২০ আগস্ট মেয়াদোত্তীর্ণ স্টিয়ারিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ৩০ আগস্ট ইউজিসি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ–বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্তে গণশুনানিকে অসঠিক গণ্য করে ইউজিসিকে পত্র দিয়েছেন। যে শিক্ষকেরা এসবের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সরাসরি আন্দোলন করে আসছেন এবং কোনো প্রতিকার না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিতে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের আপনি প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের “কথিত” সদস্য বলে অভিহিত করেছেন। উপাচার্যের আজ্ঞাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগের সাফাই গাইতে গিয়ে আপনার নিজের মূর্খতা ও দুর্বৃত্তপনার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’

অভিযোগকারী শিক্ষকদের একজন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান স্টিয়ারিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে অথবা সাধারণ সভার মাধ্যমে বর্তমান কমিটিকে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু বর্তমান আহ্বায়ক তা না করে স্টিয়ারিং কমিটিকে নিয়ে অবৈধভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই আমরা দলীয় গঠনতন্ত্রের আলোকে দ্রুত সাধারণ সভার আয়োজনের দাবি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক এম মজিবুর রহমান বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের আগপর্যন্ত বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করতে পারবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় তা করা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, সেসবই দলীয় পরিচালনার জন্য নির্বাচিত স্টিয়ারিং কমিটির সিদ্ধান্ত। আগামী অক্টোবরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সাধারণ সভার আয়োজন করা হবে।