Thank you for trying Sticky AMP!!

ময়লা–আবর্জনার স্তুপ হয়ে গেল ফুলের বাগান

ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করে লাগানো হয়েছে ফুলের গাছ। শরীয়তপুর শহরে পালং মডেল থানার পাশে

থানায় প্রবেশের প্রধান ফটকের পাশেই দেয়াল ঘেঁষে ফেলা হতো বাজারের ময়লা-আবর্জনা। স্থানটি ছিল নোংরা ও দুর্গন্ধময়। পাশ দিয়ে চলার সময় নাকে রুমাল না দিয়ে চলতে হতো পথচারীদের। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।

শরীয়তপুর শহরে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কের পাশে পালং মডেল থানার অবস্থান। সেখানে ছিল ওই ময়লার ভাগাড়। বর্তমানে সেই স্থান পরিণত হয়েছে ফুলের বাগানে।

গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছাদুল হক ও মো. পারভেজের উদ্যোগে স্থানটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ কাজে সহায়তা করেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বিডিক্লিনের সদস্যরা। সহায়তায় এগিয়ে আসেন পালং মডেল থানার পুলিশ সদস্যরাও।

ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে মাটি ফেলা হয়। বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করা হয়। আর বাগানটি যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য জাল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়।

ইউএনও মনদীপ ঘরাই বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ফেসবুকে এক ব্যক্তি ময়লার স্থানটির খবর আমাকে ট্যাগ করেন। জেলা প্রশাসক স্যারও বিষয়টি জানতে পারেন। সরেজমিন দেখতে আমি ও জেলা প্রশাসনের এনডিসি যাই। পালং মডেল থানার পুলিশ সদস্য, পৌর কর্তৃপক্ষ ও বিডি ক্লিনের সদস্যদের সহযোগিতায় নোংরা জায়গা এখন দৃষ্টিনন্দন বাগানে পরিণত হয়েছে।’

প্রশাসনের এই উদ্যোগ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। অনেকই প্রশংসা করেছেন এ উদ্যোগের। হৃদয়ে শরীয়তপুর নামের একটি ফেসবুক পেজে এ উদ্যোগের প্রশংসা করে পোস্ট দিয়েছেন।

বিডি ক্লিন শরীয়তপুরের সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ইউএনও মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের ১০ সদস্য নিয়ে চলে আসি। সবাই মিলে শুরু করি পরিচ্ছন্নতা অভিযান। শহরের যেখানেই এমন খবর পাব, সেখানেই আবর্জনা পরিষ্কার করতে এগিয়ে যাব।’

পালং মডেল থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, ময়লা-আবর্জনা ফেলার কোনো স্থান না থাকায় থানার সীমানাপ্রাচীর ঘেঁষে ময়লা ফেলা হতো। পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রতিদিন ওই ময়লা নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্গন্ধে ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন স্থানটিতে ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে।