Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহীতে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানের পর ফাঁকা হলো পদ্মাপারের বিনোদনকেন্দ্র

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

রাজশাহীর টি-বাঁধের পাশে চটপটি বিক্রি করছিলেন মো. সুজন মিয়া। তাঁর বাড়ি ওই এলাকাতেই। বললেন, বিকেলে মানুষের আগমন দেখে কিছু ফুচকা আর চটপটি নিয়ে বসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এসে মুহূর্তেই মধ্যেই সব তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই বিক্রি শুরু হয়েও হলো না।

সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, ঈদের পরদিনও (বৃহস্পতিবার) এখানে লোকজনের আগমন ঘটেছিল। আজকে বিধিনিষেধের কারণে তাঁদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। তাঁরা কোনো বাধা না মেনে চলে এসেছেন পদ্মাপারে। অনেকে মুখে মাস্ক পর্যন্ত দিয়ে আসেনি। তবে তাঁরা মানুষের দলে দলে আগমনকে ঠেকিয়ে দিয়েছেন।

রাজশাহীর পদ্মাপারের এই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাগ হয়ে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। তাঁরা হলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল রিফাত ও মো. শামসুল ইসলাম।

আবদুল্লাহ আল রিফাত বলেন, আজকে পদ্মাপারের টি-বাঁধসহ আশপাশের এলাকায় মানুষের আগমন ছিল। তিনি বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ও সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তিনি ওই এলাকায় অভিযান চালান। এ সময়ে তিনি ৪ হাজার ৪০০ টাকার মতো জরিমানা করেছেন। তাঁদের বুঝিয়ে সতর্ক করে বাসায় পাঠানো হয়েছে।

ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল ইসলাম অভিযান চালিয়েছেন রাজশাহীর পদ্মা গার্ডেন এলাকায়। তিনি বলেন, ঈদের পর নদীর পাড়ে বেড়ানোর প্রবণতা থেকে লোকজন বেরিয়ে আসতে পারেনি। অনেকে চলে এসেছেন। তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রশাসনের উপস্থিতি পেয়ে চলে গেছেন। প্রথম দিন তিনি জরিমানা করেননি।

এদিকে রাজশাহীর নয়টি উপজেলা ও রাজশাহী নগরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২৪ জনকে বিভিন্ন ধারায় জরিমানা করা হয়েছে। ২৪ জনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউছার হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময়ে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে ৯০০টি।