Thank you for trying Sticky AMP!!

রাতে বেতন ও উৎসব ভাতা পেলেন শ্রমিকেরা

গাজীপুরের ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ফুয়াং ফুড কারখানায় আন্দোলনের পর বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়া হয় শ্রমিকদের। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় কারখানার ভেতরে

আন্দোলনের পর গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ফুয়াং ফুড কারখানার শ্রমিকেরা বেতন ও উৎসব ভাতা পেয়েছেন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টার দিকে স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেনের মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতার দাবিতে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে ফুয়াং ফুড কারখানার অর্ধসহস্রাধিক শ্রমিক বিক্ষোভ করেন। তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কারখানা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান। কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে শ্রমিকেরা কিছুক্ষণ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন।

খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন। তিনি এসে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তাৎক্ষণিক কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সম্পূর্ণ বকেয়া মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই পরিশোধ করতে রাজি হয় কর্তৃপক্ষ। পরে রাত ১০টা থেকে ক্রমান্বয়ে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধ করে কর্তৃপক্ষ। বেতন ও উৎসভ বাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে রাতে সেখানে অবস্থান করেন সাংসদ।

কারখানার শ্রমিক মো. মোবারক হোসেন বলেন, বেশির ভাগ শ্রমিকের দুই মাসের বেতন ও ঈদ উৎসব ভাতা বকেয়া। এসব কারণেই শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। সাংসদ এসে বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা করেছেন। মিজানুর রহমান নামের এক কর্মী বলেন, ‘আমরা সবাই অবশেষে বেতন পাচ্ছি। এর জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হয়েছে।’

এ বিষয়ে ফুয়াং ফুড কারখানার দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেছেন, বকেয়া পরিশোধ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রমিক আন্দোলন হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে আসি। শ্রমিকদের বৈধ দাবিদাওয়া সম্পর্কে জেনে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলি। শ্রমিকদের বেতন ও উৎসব ভাতার নিশ্চয়তা দিলে শ্রমিকেরা আন্দোলন স্থগিত করেন। এরপর নিজে উপস্থিত থেকে বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’