Thank you for trying Sticky AMP!!

র‍্যাগ দেওয়ায় ৩ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার

শিক্ষার্থীদের র‍্যাগ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির করা প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই শাস্তির সিদ্ধান্ত হয়।

শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং (এলই) বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আ স ম রাগিব আহসান ওরফে মুন্না ও হুমায়ুন কবির এবং আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং (ইউআরপি) বিভাগের একই ব্যাচের তরিকুল ইসলাম ওরফে রাতিন। এর মধ্যে মুন্নাকে চলতি টার্মের (সেমিস্টারের) রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। হুমায়ুন কবিরকে চলতি টার্মের জন্য বহিষ্কার এবং রাতিনসহ তিনজনকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউআরপি বিভাগের একই ব্যাচের আরেক শিক্ষার্থী মো. নাহিদ হাসানসহ অভিযুক্ত চারজনকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

গত ৫ মে রাত ১০টায় পরিচিত হওয়ার কথা বলে কুয়েটের অভিযুক্ত এই শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষের ৪০ জনকে হলের ছাদে নিয়ে যান। সেখানে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত তাঁদের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান তাঁরা। একপর্যায়ে নির্যাতন সইতে না পেরে একজন অচেতন হয়ে পড়লে নির্যাতনকারীরা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তাঁকে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিং কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষী যে–ই হোক, দোষ প্রমাণিত হলে শাস্তি ভোগ করতে হবে। অপরাধীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি নিয়ে গত ১০ মে প্রথম আলোতে ‘র‍্যাগিং না নির্যাতন?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছে, সেখানে কোনো র‍্যাগিং নেই।

আরও  পড়ুন..
র‌্যাগিং না নির্যাতন?