Thank you for trying Sticky AMP!!

লক্ষ্মীপুরে কোভিড রোগী ৮০০ ছাড়িয়েছে

করোনাভাইরাস। ছবি: রয়টার্স

লক্ষ্মীপুরে নতুন করে আরও ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, আজ সোমবার বিকেলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৭৯টি নমুনার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২৮ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২৩।

এদিকে ৩৩০টি নমুনার প্রতিবেদন এখনো লক্ষ্মীপুরে পৌঁছায়নি। সেগুলো এলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেড়ে যেতে পারে। এ পর্যন্ত জেলায় ৫ হাজার ৯৮৮ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়। এর মধ্যে রিপোর্ট এসেছে ৫ হাজার ৬৫৮টির।

গত ১২ এপ্রিল জেলায় প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হন রামগঞ্জ উপজেলায়। জেলায় গত মাস পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা যা ছিল, তার প্রায় তিন গুণের বেশি আক্রান্ত হয়েছে চলতি মাসের ২৯ দিনে। গত ৩১ মে পর্যন্ত জেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৯৬। আর ১ জুন থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬০০ জন। অর্থাৎ চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের বেশি রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনার সংক্রমণ বিবেচনায় লক্ষ্মীপুর জেলার তিনটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ এলাকাগুলোয় ১৬ জুন থেকে আবার লকডাউন শুরু করা হয়। আজ রাত ১২টা পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।

জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৪২৭ জন, রায়পুরে ৭১ জন, রামগঞ্জে ১৩৭ জন, কমলনগরে ১২৫ জন ও রামগতিতে ৬৩ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত উপসর্গে মৃত ১৩ জনের মরণোত্তর নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া করোনা শনাক্ত আরও দুজনের মৃত্যুতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ও সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মে মাসের তুলনায় চলতি জুন মাসে বেড়েছে অনেক বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছি। রেড জোন চিহ্নিত করে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা হচ্ছে। আশা করি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হবে।’