Thank you for trying Sticky AMP!!

বিধবার জমি দখলের অভিযোগ

জমি দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিধবা হামিদা বেগমের ছেলে এনামুল হক। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস সড়কের একটি ভবনে

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামিদা বেগম নামের এক ভুক্তভোগীর দুই ছেলে আজ মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস সড়কের একটি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, মামুন রানা নামের ওই ব্যক্তি ওই বিধবার ১৪ শতাংশ জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হামিদা বেগমের দুই ছেলে এনামুল ও নাজমুল হক। তাঁরা শাহজাদপুর পৌর এলাকার মণিরামপুর মহল্লার বাসিন্দা।

এনামুল হক বলেন, তাঁর মামা ওয়ারেছ আলী ২০০৮ সালে পৌর এলাকার দ্বারিয়াপুর মৌজার ১৪ শতাঁংশ জমি হামিদা বেগমের নামে দলিল করে দেন। সেই থেকে জমিটি তাঁদের পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। ২০১৯ নালের নভেম্বরে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে অর্ধপাকা ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয় পৌরসভা। পরে সেখানে বিপণিবিতানের ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় সাংসদ হাসিবুর রহমানের জামাতা মামুন রানা জায়গাটি তাঁর নানার বলে দাবি করেন। এ নিয়ে মামলা হলে আদালত জমির ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। অথচ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্প্রতি মামুন রানা ও তার সহযোগী শহিদুল আলম, শাহ আলম ও শাহজাদার নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন জমির চারপাশে টিনের বেড়া দেন। পরে সেখানে মামুন নিজের নামসংবলিত একটি পোল্ট্রি ফার্মের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন।

এনামুল হক আরও বলেন, জমিটি দখলের পর মামুন রানা ‘ভুয়া দলিল’ তৈরির পাশাপাশি নিজের বাবা ও সমর্থকদের দিয়ে একাধিক মামলা করে তাঁদের হয়রানি করছেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সাংসদের কাছে গেলে তিনি শাহজাদপুর থানার ওসিকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। কিন্তু ওসি কোনো ব্যবস্থা নেননি। তিন দিন আগে ওসি আতাউর রহমান এনায়েতপুর থানায় বদলি হয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে মামুন রানা জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। দুই পক্ষই আমার আত্মীয়। এক পক্ষ খালাতো ভাই, আর অপর পক্ষ মামাতো ভাই। সাইনবোর্ডে আমার নাম কেন যুক্ত করা হয়েছে, তা জানি না।’
জামাতার বিরুদ্ধে বিধবার জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাংসদ হাসিবুর রহমানের মুঠোফোনে বিকেলে চারটার দিকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।