Thank you for trying Sticky AMP!!

শিশু ধর্ষণের মিথ্যা মামলা, বাদীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটে শিশু ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ রোস্তম আলী এ রায় দিয়েছেন। জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত বাদীর নাম মোরশেদুল সরকার (৩৩)। তাঁর বাড়ি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মোরশেদুল তাঁর প্রতিবন্ধী কন্যাশিশুকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরের ১১ এপ্রিল কালাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলার আসামি করা হয় প্রতিবেশী মেহেদী হাসানকে (৩৪)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্রও দাখিল করেন। আজ আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) ফিরোজা বেগম প্রথম আলোকে জানান, এদিন মামলার বাদী-বিবাদী উভয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলাটি আপস হয়েছে বলে আসামিপক্ষ আদালতে একটি আপসনামা দাখিল করেন।

আদালতের বিচারক মামলার বাদীর কাছে জানতে চান, তিনি মিথ্যা মামলা করেছিলেন কি না। তখন মামলার বাদী বিচারককে বলেন, জমিজমা নিয়ে তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণে মামলা করেছেন। পরে মামলাটি আপস করেছেন। এরপর বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। মামলার আসামি মেহেদী হাসানকে আদালত খালাস দিয়েছেন।

জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মাহবুর রহমান বলেন, মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। আদালতের আদেশের কপি হাতে পেলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।

জয়পুরহাট আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ‘আজকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি ধর্ষণ মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ের ফলে মিথ্যা মামলার প্রবণতা কমবে বলে আশা করছি।’