Thank you for trying Sticky AMP!!

শীতে জবুথবু রাজশাহীর মানুষের জীবন

কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে কাজের সন্ধানে রাজশাহী নগরে আসছেন শ্রমিকেরা। গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে নগরের ভদ্রা এলাকায়

রাজশাহীতে শুক্রবার সারা দিন সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি অনেক এলাকায়। সারা দিন কুয়াশা-বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিল। শনিবার সকালেও একই অবস্থা ছিল। দুপুরের পর বিকেলের দিকে রোদ ওঠে কিছু সময়ের জন্য। তবে সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা আবার বেড়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে শনিবার ভোরে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। দিনের বেশির ভাগ সময় তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী শহরে অটোরিকশা চালিয়ে সংসারের খরচ মেটান আবু সাইদ। তিনি নগরের বিনোদপুর এলাকায় থাকেন। গত শুক্রবার শীতের কারণে সারা দিন বের হননি। শনিবার ভোরে শীতের মধ্যে বের হলেও তেমন ভাড়া পাননি। দুপুর পর্যন্ত তিনি ভাড়া তুলেছেন মাত্র ২০০ টাকা। সাইদ বলেন, শীতের কারণে লোকজন বের হচ্ছে না। তাই ভাড়া হচ্ছে না।

শনিবার সকালে নগরের কাজলা এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নিতে দেখা গেছে। তবে বিকেলের দিকে কাজলাসহ বিভিন্ন এলাকায় রোদ পোহাতে দেখা গেছে। বিকেলে কথা হয় রজব আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আকাশে রোদ দেখে মনে হচ্ছে তাপমাত্রা কমে আসবে। কিন্তু সূর্য ডুবলে কী হবে, বলা যায় না।

তালাইমারী এলাকার আকেরুন নেছা (৭০) বলেন, তিনি এই এলাকায় বিকেলে বাদাম নিয়ে বসেন। শীতে গরম পিঠার কদর থাকলেও বাদাম কেউ কিনছে না। তাই বাদাম বিক্রি করছেন না। শীতে বের হতে না পেরে কাজকর্ম করতে পারছেন না। খুব কষ্টে আছেন।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবদুস সামাদ বলেন, এ মাসে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। মাসের শেষ দিনগুলোতে চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও তীব্র হবে। তাপমাত্রাও আরও কমে আসতে পারে।