Thank you for trying Sticky AMP!!

শেরপুরে বাঙ্গালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন

খননযন্ত্র বসিয়ে বাঙ্গালী নদী থেকে বালু তোলেন স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি। গতকাল বগুড়ার শেরপুরের বিনোদপুর গ্রামে

দুই পাশে ফসলি জমির মধ্যে বাঙ্গালী নদী। এই নদীতে বসেছে বালু তোলার দুটি খননযন্ত্র। নদী থেকে বালু তুলে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে অন্তত চার শ ফুট দূরের এক গর্তে ফেলা হচ্ছে। গর্ত ভরাট করে সেখানে বসানো হবে বাঁশের বাজার।

বালু তোলা হচ্ছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামে। গত শনিবার বিকেল থেকে খননযন্ত্র দিয়ে বাঙ্গালী নদীর বালুমাটি তুলতে শুরু করেন স্থানীয় ৩০ জন বাসিন্দা। তাঁরা সবাই বাঁশ কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত।

বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বিনোদপুরসহ আশপাশের অন্তত ছয়টি গ্রামের নারী-পুরুষ বাঁশ দিয়ে চাটাই তৈরিসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ তৈরির কাজ করেন। এ কারণে তাঁরা গ্রামের একটি নিচু জায়গা ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছেন। এ জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়েও আবেদন করা হয়েছে।

তবে গ্রামেরই অন্তত ১০ জন কৃষক বলেছেন, গ্রামের বেড়িবাঁধের পাশে কিছু অংশ ফসলি জমি। এরপর বাঙ্গালী নদী। নদী থেকে বিভিন্ন সময় অবাধে খননযন্ত্র দিয়ে বালু তোলা হয়। এ কারণে বাঁধটিও ভাঙনের কবলে পড়েছে। বাঁশের বাজারের জন্য নতুন করে বালু তোলায় বাঁধটি আবার ক্ষতির মুখে পড়বে। তাঁরা এ কথাও বলেছেন যে বাঁশের বাজার না বসলে বাঁশ দিয়ে উপকরণ তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

গ্রামের পল্লিচিকিৎসক জাহিদুর রহমান বলেন, বাঁশ বিক্রির আলাদা স্থানে বাজার তৈরি করে দেওয়া হলে সব পক্ষই সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বেঁচে যাবে। তবে ইউএনও লিয়াকত আলী শেখ বলেছেন, বাঙ্গালী নদী থেকে বালু তোলার কোনো অনুমোদন নেই। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।