Thank you for trying Sticky AMP!!

শেরপুরে ৬ দিনে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন শ জন

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে রোগীদের ভিড়। রোববার দুপুরে বগুড়ার শেরপুরে

বগুড়ার শেরপুরে ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ১ জুন থেকে আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৪০ জন ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ভ্যাপসা গরম ও মৌসুমি ফল খেয়ে তাদের এমন অবস্থা হয়েছে।

এর আগে গত মে মাসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নেয় ৪৭০ জন। চলতি মাসের ছয় দিনে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৪০ জন।

এ ছাড়া বর্হির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ৩০০ জন। চিকিৎসকেরা বলছেন, আগামীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোকছেদা খাতুন বলেন, ভ্যাপসা গরম ও মৌসুমি ফল খেয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাদের বেশির ভাগই নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্য। নারীদের সংখ্যা এর মধ্যে বেশি।

আজ সরেজমিনে পুরুষ ওয়ার্ডে কথা হয় নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগ্রামের এনামুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, গত শুক্রবার রাতে খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় একাধিকবার পাতলা পায়খানা শুরু হয়ে যায়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, গত মে মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয় ১৫০ জন। ৩০ মে এক দিনেই ভর্তি হয়েছিল ১৭ জন। মে মাসে ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ ও ১০১ জন নারী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল কাদের বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা কম। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।