Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্যামনগরের দাতিনাখালী এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ, স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক

শ্যামনগরের সুন্দরবন সংলগ্ন দাতিনাখালী লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপ। মঙ্গলবার সকালে তোলা ছবি

সুন্দরবনসংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার দাতিনাখালী এলাকার মানুষ বাঘ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গতকাল সোমবার রাতে বাঘের ডাক শুনে লোকজন নির্ঘুম রাত কাটান। আজ মঙ্গলবার সকালে হুলো এলাকার চুনো নদীর চরে চলাফেরা করা বাঘের টানা পায়ের ছাপ দেখেন স্থানীয় লোকজন।

তবে বন বিভাগ বলছে, চুনো নদী পেরিয়ে লোকালয়ে বাঘ এসেছিল, তবে তা গতকাল নয়। আরও দুই–এক দিন আগে বাঘটি এসেছিল বলে তারা ধারণা করছে।

সুন্দরবনসংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালী এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মুণ্ডা বলেন, গতকাল গভীর রাতে বাড়ির পাশে বাঘের ডাক শুনে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। সকালে গিয়ে চুনো নদীর চরের হুলো এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখেন। পায়ের ছাপগুলো দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বাঘটি চর এলাকা ঘুরে বেড়িয়েছে।

সোমবার রাতে বাঘের ডাক শুনে লোকজন নির্ঘুম রাত কাটান। আজ মঙ্গলবার সকালে হুলো এলাকার চুনো নদীর চরে চলাফেরা করা বাঘের টানা পায়ের ছাপ দেখেন স্থানীয় লোকজন।

একই এলাকার মনোরঞ্জন মুণ্ডাও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, অনেক দিন বাঘ নদী পার হয়ে লোকালয় আসেনি কিংবা ডাকও শোনা যায়নি। বাঘ আসার খবরে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তবে স্থানীয় সাংবাদিক আবদুল আলিম বলেন, তিনি আজ বেলা ১১টার দিকে চরে গিয়ে বাঘের ‘টাটকা’ পায়ের ছাপ দেখেন। বাঘটি গতকাল রাতেই এসেছিল বলে তিনি ধারণা করেছেন।

পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের সাতক্ষীরার রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, চুনো নদীর হুলো এলাকা ভরাট হয়ে সরু খালের মতো হয়েছে। ওই স্থান দিয়ে নদী পার হয়ে সুন্দরবন থেকে দুই এক দিন আগে রাতে একটি বাঘ লোকালয়ের পাশে এসেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বাঘটি আবার রাতেই বনে ফিরে গেছে। আজ চুনো নদীর চরে হুলো এলাকায় বাঘ চলাফেরার পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করেছে।