Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্রীপুরে ঘরে ঘরে যাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ মাছের দোকান

মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যানগাড়িতে করে মাছ বিক্রি চলছে। সোমবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী এলাকায়

করোনায় বিপর্যস্ত সময়ে গাজীপুরের শ্রীপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে যাচ্ছে মাছ বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান। ১০ দিন ধরে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, শহরাঞ্চল তথা জনবহুল আবাসিক এলাকায় বেশ কয়েকটি ভ্যানগাড়িতে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এসব মাছ তুলনামূলক কম দামে পাচ্ছেন ভোক্তারা। এতে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে বাজারে যেতে হচ্ছে না। তা ছাড়া শ্রীপুরে কাঁচাবাজারে ‘গ্রোথ সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ১২ জন মাছ বিক্রেতার নাম, মুঠোফোন নম্বরসহ ব্যানার টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করে বাসায় বসে মাছ কিনতে পারছেন। এ ছাড়া মাছ পরিবহনের জন্য পুরো উপজেলায় সমিতিভিত্তিক ছয়টি পিকআপ ভ্যান দেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের ‘জাতীয় কৃষিপ্রযুক্তি প্রকল্প-২’ প্রকল্পের অধীনে এসব পিকআপ ভ্যান দেওয়া হয়। মাছ পরিবহনের জন্য এগুলো ব্যবহার হচ্ছে। তা ছাড়া উপজেলা মৎস্য অফিসের তত্ত্বাবধানে ‘অনলাইন ফিস মার্কেট, শ্রীপুর, গাজীপুর’ নামের ফেসবুক পেইজে মাছ বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। সেখানে যে কেউ যেকোনো পরিমাণ মাছ অর্ডার করতে পারছেন।

মাছ বিক্রেতা আবুল হাশেম বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ দোকানে ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনেকেই ভ্যানগাড়ি থেকে মাছ কিনছেন। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাছ বিক্রি করছি।’ মো. আবুল কালাম নামের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, গ্রোথ সেন্টারে ও ফেসবুক পেজে মুঠোফোন নম্বর দেখে ফোন দিয়ে মাছ কিনছেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে কম দামে মাছ পাচ্ছেন ক্রেতারা। করোনাকালে বাইরে যেতে হচ্ছে না কাউকে।

শ্রীপুর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আশরাফুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মহামারির এ সময়ে মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ মাছ বিক্রির দোকানের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে। গত ১০ দিনে খুব ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ ঘরে বসে তাজা মাছ কেনার জন্য ফোন দিচ্ছেন। দোকানিদের উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।’