Thank you for trying Sticky AMP!!

শ্রীমঙ্গলে হনুমান রক্ষায় এগিয়ে এল র‍্যাব

ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের পশ্চিম লইয়ারকুল এলাকায় গ্রামবাসীর হাতে হনুমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার কথা শুনে তাদের রক্ষায় এগিয়ে এল র‍্যাব-৯।

গ্রামের মানুষের গাছের ফলমূল-শাকসবজি খেয়ে ফেলা, ঘরবাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব করার কারণে সাধারণ মানুষ হনুমানের ওপর ক্ষুব্ধ হয়। ক্ষুব্ধ হয়ে হনুমান মারতে লাঠিসোঁটা ও গুলতি নিয়ে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল গ্রামবাসী। পরে খবর পেয়ে র‍্যাবের একটি দল গ্রামে গিয়ে মসজিদের মাইকে হনুমানের ওপর হামলা না করতে বলে।

র‍্যাব-৯-এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ‘বন্য প্রাণীগুলোর জীবন বিপন্ন জানতে পেরে আমরা তাদের রক্ষার উদ্যোগ নিই। হনুমানগুলোকে রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নিয়াজ ইকবাল মাসুদের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে র‍্যাব-৯-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর শওকাতুল মোনায়েমের নির্দেশে র‍্যাবের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হনুমানগুলোকে না মারতে এলাকাবাসীকে নির্দেশনা দিয়ে আসে।’ অন্যান্য অপরাধ নির্মূলের পাশাপাশি বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় র‌্যাবের এমন চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

গ্রামের রিমন ইসলাম বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে ১০ থেকে ১২টি হনুমান এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। মানুষের খেতের সবজি, গাছের ফলমূল খেয়ে ফেলছে। মানুষের ঘরে ঢুকে যাচ্ছে। গ্রামবাসী খুবই আতঙ্কগ্রস্ত এসব হনুমান নিয়ে। শিশুরা ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

সরেজমিনে আজ মঙ্গলবার পশ্চিম লইয়ারকুল এলাকায় দেখা যায়, গাছগাছালিঘেরা এই গ্রামে ১০ থেকে ১২টি হনুমান এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। গাছের তেঁতুল খাচ্ছিল। আবার কখনো শিম খাচ্ছিল। গ্রামবাসী লাঠি-গুলতি নিয়ে তাদের তাড়া করছিল।

বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, ‘আমরা এই এলাকায় গিয়ে দেখে এসেছি। এলাকাটিতে প্রচুর গাছ ও বাঁশঝাড় আছে। হনুমানগুলো গাছের মগডালে থাকায় তাদের ধরা যায়নি। এমনিতে হনুমান মানুষকে আক্রমণ করে না। তবে এই এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইনে প্রাণীগুলোর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে। তা ছাড়া গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ থাকায় যেকোনো সময় হামলা হতে পারে।’