Thank you for trying Sticky AMP!!

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণ, চারজন গ্রেপ্তার: র‍্যাব

গ্রেপ্তার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে চার দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার রাজধানী ঢাকা, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার মাদারীপুর র‌্যাব-৮–এর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গোপাল বাড়ৈ (৩০), বরুন বালা (২৩), অটল বাড়ৈ (২২), প্লাবন বাড়ৈ (২৫)। তাঁদের সবার বাড়ি কোটালীপাড়া উপজেলায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ রাতে ওই শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার একটি মন্দির থেকে গান শুনে একই গ্রামে মামার বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় আসামিরা তার গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেলে করে অজ্ঞাত স্থানের একটি দোতলা ভবনে নিয়ে যান। সেখানে প্রথমে তাকে নগ্ন করে ভিডিও করেন। তারপর আসামিরা তাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করেন। এরপর নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে সারা রাত আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

র‌্যাব বলছে, পরের দিন ওই ছাত্রীকে আসামি গোপাল বাড়ৈর এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিন দিন আটকে রেখে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন আসামিরা। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী জানালা ভেঙে পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৮ যৌথ অভিযানে নামে। গতকাল শনিবার র‌্যাব-৮–এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ঢাকার শাহবাগ থেকে গোপাল বাড়ৈকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে গোপালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদারীপুরের শিবচর থেকে বরুন বালা এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অটল বাড়ৈ ও প্লাবন বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা করার দিনই গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে তাঁর পরিবারের কাছে রয়েছে।