Thank you for trying Sticky AMP!!

সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থা, চলাচলে দুর্ভোগ

সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৭ কিলোমিটার। ২০১৪–১৫ অর্থবছরে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সবশেষ সংস্কার কাজ করা হয়।

মাদারীপুরে খাগদী-শ্রীনদী-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কে কাদাপানি থাকায় দুর্ভোগে চলাচল করছেন যাত্রী ও পথচারীরা।

এদিকে সড়ক বেহাল থাকায় বাস চলাচল এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও মাদারীপুর নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রীনদী–টেকেরহাট পর্যন্ত বাস চলাচল করত। তিন বছরের বেশি সময় ধরে সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দ থাকায় যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে।

স্থানীয় নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটি দিয়ে রাজৈর ও শিবচর উপজেলা হয়ে ঢাকা যাওয়া যায়। দুটি উপজেলায় সহজে ও কম সময়ে যাতায়াত করার জন্য সড়কটি মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ত আর খানাখন্দে ভরা সড়কটির নাজুক অবস্থা অন্তত চার বছর ধরে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাদারীপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার খাগদী-শ্রীনদী-টেকেরহাট সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৭ কিলোমিটার। সবশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির সংস্কার করা হয়।

ইতিমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দু-এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবে।
বাবুল আখতার, নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিইডি, মাদারীপুর কার্যালয়

গতকাল সরেজমিনে সড়কটির অন্তত ১০ কিলোমিটার ঘুরে দেখা যায়, খাগদী থেকে চরমুগরিয়া বাজার পর্যন্ত ছোট–বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চরমুগরিয়া বাজার থেকে ছয় কিলোমিটার দূরের মিঠাপুরবাজার পর্যন্ত অবস্থা বেশি নাজুক। ছয় কিলোমিটারে অন্তত তিন শতাধিক গর্ত। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমেছে। রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা ও ট্রাক হেলেদুলে চলাচল করছে।

হাউসদি ইউনিয়ন পরিষদের একটি প্রকল্পে কাজ করেন সদরের মোস্তফাপুর এলাকার বাসিন্দা পূজা সরকার। প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে বেহাল সড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার ইজিবাইকে চলতে হয়। পূজা বলেন, রাস্তা এতটাই খারাপ যে ইজিবাইক বা ভ্যানে উঠলে ঝাঁকুনিতে কোমর ব্যথা হয়ে যায়।

চরমুগরিয়া এলাকার বাসিন্দা তৌহিদ খান বলেন, ভাঙা রাস্তাটি দিয়ে সাংসদ শাজাহান খানের গ্রামের বাড়ি যেতে হয়। মানুষের দুর্ভোগের কথা তিনিও জানেন। কিন্তু রাস্তাটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) মাদারীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আখতার বলেন, ইতিমধ্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কোহিনূর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দু-এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু করবে।