Thank you for trying Sticky AMP!!

সখীপুরে নেতার বাড়িতে ৩৭ মৌচাক, বিলিয়ে দেন সব মধু

টাঙ্গাইলের সখীপুরে জাতীয় পার্টির এক কেন্দ্রীয় নেতার বাড়িতে ৩৭টি মৌচাক আছে। উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে ওই নেতার বাড়ির দেয়ালে, কার্নিশে ও গাছে মৌমাছিরা বাসা বেঁধেছে। ৩০ বছর ধরে ওই বাড়িতে সব সময়ই ৩০ থেকে ৫০টি মৌচাক থাকে। স্থানীয় লোকজন ওই বাড়ির নাম দিয়েছেন ‘মৌমাছির বাড়ি’।

ওই বাড়ির মালিকের নাম কাজী আশরাফ সিদ্দিকী। তিনি জাতীয় পার্টির (এরশাদ) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি কখনোই এসব মৌচাকের মধু বিক্রি করতে পারেন না। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও কেন্দ্রীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে দিতেই সব মধু শেষ হয়ে যায়।

মৌমাছির বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর ধরে মৌমাছির দল ওই বাড়ির দেয়ালে বাসা বেঁধে আছে। বাড়িটির কার্নিশ, দেয়াল ও আমগাছ দখল করে মৌচাক বানিয়েছে মৌমাছির দল। প্রতিবেশীরা বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌমাছির গুঞ্জন থাকে চারপাশে। সারা বছরই মৌমাছির দল থাকে এই বাড়িতে।

বাড়ির মালিক কাজী আশরাফ সিদ্দিকী বলেন, ‘বাড়িতে বর্তমানে ৩৭টি চাক আছে। এরা আমাদের কোনো ক্ষতি করে না। উৎসুক জনতা প্রতিদিনই মৌমাছির চাক দেখতে আসে বিভিন্ন স্থান থেকে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় ওই মধু কখনো বিক্রি করতে পারি না। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন ও নেতা-কর্মীদের বিলিয়ে দিই।’

উৎসুক জনতা প্রতিদিনই মৌমাছির চাক দেখতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসে

শৌখিন মৌয়াল আবদুল কাদের মিয়া বলেন, ‘অনেক বছর ধরে এই বাড়ির মৌমাছির চাকগুলো আমিই কাটি। মধু নামাই। এ বছর এক মাস আগেও কয়েক মণ মধু নামিয়েছি। প্রতিবছর পাঁ থেকে সাত মণ মধু নামানো যায়।’

উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, আশরাফ সিদ্দিকী বছরের বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকেন। তাঁর এক ভাই ও বৃদ্ধ মা–বাবা ওই বাড়িতে থাকেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এলেই মৌয়ালকে খবর দেওয়া হয়। নেতা বাড়িতে এলে প্রতিবেশী, আত্মীয় ও কর্মীরা বাড়িতে মধুর জন্য ভিড় করেন।