Thank you for trying Sticky AMP!!

সাগর থেকে ফিরে আসা ২৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার

সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসে লোকালয়ে ঢুকে পড়া ২৬জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মাহাবুব আলম তালুকদার। তিনি বলেন, ১৫ এপ্রিল রাতে টেকনাফের বাহারছড়ার জাহাজপুরা সৈকত পয়েন্টে মালয়েশিয়াগামী একটি ট্রলার থেকে ৩৯৬ রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এরপর তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) কাছে রোহিঙ্গাদের হস্তান্তর করে। তবে তার আগেই বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা ট্রলার থেকে নেমে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল। তাদের মধ্যে ২৬ জনকে সোমবার পর্যন্ত উখিয়া-টেকনাফ বিভিন্ন শরণার্থীশিবির থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ২৬ জনকেও ইউএনএইচসিআরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কমিশনার মাহাবুব আলম আরও বলেন, উদ্ধার হওয়ার ৪২২জনকে পৃথক স্থানে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। বান্দরবানের ঘুমধুম রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ট্রানজিট ঘাটে রাখা হয়েছে ৩০৩ জনকে। টেকনাফের কেরুনতলী প্রত্যাবাসন ট্রানজিট ঘাটে আছে ৭৩ জন। বেশি অসুস্থ ও শারীরিকভাবে দুর্বল ২০জনকে টেকনাফের লেদার আইওএম ও উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর সোমবার উদ্ধার হওয়া ২৬জনকে বান্দরবানের ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাটে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষে সবাইকে নিজ নিজ রোহিঙ্গা শিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি
আগে উদ্ধার হওয়া ৩৯৬জনের মধ্যে ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে কারও দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা।

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, কোয়ারান্টিনে থাকা সবাই প্রায় সুস্থ আছে। গত তিন দিনে কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়নি। কয়েকজনের সাধারণ সমস্যা দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসা দিয়ে তাদের সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। কারও শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা পরীক্ষা ও আইসোলেশনে পাঠানোর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।


আরও পড়ুন: দুই মাস সাগরে ভাসল রোহিঙ্গারা, মৃত ৩২