Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতক্ষীরা–যশোর সরাসরি বাস চলছে না দুই সপ্তাহ, যাত্রীদের দুর্ভোগ

বাস

দুই জেলার মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে সাতক্ষীরার সঙ্গে যশোরের সরাসরি যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে দুই সপ্তাহ ধরে সাতক্ষীরা থেকে যশোরে যেতে মাঝপথে বাস পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

সাতক্ষীরা শহর থেকে যশোরের দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার। চিকিৎসাসহ দৈনন্দিন কাজে প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে যশোর, আবার যশোর থেকে সাতক্ষীরায় অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করে। এ পথে বাস ছাড়া অন্য কোনো যোগাযোগের মাধ্যম নেই। বর্তমানে সাতক্ষীরা টার্মিনাল থেকে সাতক্ষীরা জেলার সীমানা বেলতলা পর্যন্ত যাচ্ছে যাত্রীবাহী বাস। সেখান থেকে বাস পরিবর্তন করে যশোরের বাসে চাপতে হচ্ছে যাত্রীদের।

সাতক্ষীরা জেলা বাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ জানান, ১০ বছর আগে যশোর আন্তজেলা বাস সিন্ডিকেটের সঙ্গে সাতক্ষীরা মালিক সমিতির চুক্তি হয়েছিল, প্রতিদিন যশোর থেকে সাতক্ষীরায় ৬১ বার ট্রিপ দেবে, আর সাতক্ষীরা থেকে দেবে ৩৬ বার ট্রিপ। ওই চুক্তি প্রায় এক বছর আগে শেষে হয়েছে। সাতক্ষীরায় বর্তমানে বাসের সংখ্যা আগের চেয়ে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রিপ সমন্বয়ের জন্য বলা হয়েছে বারবার, কিন্তু যশোর আন্তজেলা বাস সিন্ডিকেট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে গত ১৮ নভেম্বর থেকে তারা যশোরে বাস পাঠাচ্ছেন না।

এদিকে যশোর আন্তজেলা বাস সিন্ডিকেট মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক আমির হোসেন জানান, সাতক্ষীরা ও যশোর মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যশোরের বাস সাতক্ষীরা হয়ে কালীগঞ্জ পর্যন্ত যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সাতক্ষীরা টার্মিনাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত তারা সাতক্ষীরায় বাস পাঠানো বন্ধ রাখবেন। তবে যশোর-সাতক্ষীরার সীমানা বেলতলা পর্যন্ত বাস পাঠাচ্ছেন তাঁরা।

সাতক্ষীরা বাস মলিক সমিতির সদস্যসচিব সাইফুল করিম জানান, যশোর থেকে সাধারণ বাস কালীগঞ্জ পর্যন্ত যেতে নিষেধ থাকলেও বিরতিহীন যেতে কোনো বাধা ছিল না কখনো।

সাতক্ষীরা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে হয় দেবহাটা উপজেলা সদরের আমির হামজাকে। তিনি জানান, অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে যশোর-সাতক্ষীরা সীমানায় আবার বাস পরিবর্তন করতে হয়, এতে পোহাতে হয় বিড়ম্বনা।

ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন শহরের পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে যশোরে যেতে হয় সফিকুল ইসলামকে। পণ্য নিয়ে তাঁর বিড়ম্বনার শেষ নেই। সেই সঙ্গে খরচ করতে হয় পণ্য ওঠানামার জন্য।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির জানান, সমস্যার সমাধানে তিনি যশোর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দুই জেলার বাস মালিক সমিতিকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।