Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতক্ষীরায় করোনার সংক্রমণ আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৪.১৯ শতাংশ

এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫১১ জনের। আজ বুধবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ৩৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন।

করোনাভাইরাস।

১২তম দিনে এসেও সাতক্ষীরায় ঢিমেতালে পালিত হচ্ছে লকডাউন। এদিন সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, জেলায় করোনার সংক্রমণের হার আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।

আজ বুধবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ১০০ জন। শনাক্তের হার ৫৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে শনাক্তের হার ৪৯ শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

গত সোমবার শনাক্তের হার ছিল ৪৭ দশমিক ৩১ শতাংশ। সে অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন সাফায়াত হোসেন জানান, এ পর্যন্ত ১০ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫১১ জনের। আজ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ৩৮ করোনা পজিটিভ রোগী চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া ৭০৩ জন বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সিভিল সার্জন আরও জানান, সাতক্ষীরায় করোনা শনাক্ত প্রতিদিনই বাড়ছে। লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলা ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছেন না। শুধু চিকিৎসাসেবা দিয়ে করোনার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় নেই।

এদিকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাতক্ষীরা শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের মোড়ে ব্যারিকেড দেওয়া। তারপরও চলছে ইজিবাইক, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন।

জনসমাগম বেশি দেখা যায় সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারে। সেখানে ছিল না সামাজিক দূরত্ব। অনেকের মুখে মাস্কও ছিল না। তবে যশোর ও খুলনা থেকে সাতক্ষীরার প্রবেশপথে পুলিশকে পাহারা দিতে দেখা যায়।