Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতক্ষীরায় জ্বর নিয়ে যুবকের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

ঢাকা থেকে আসার পাঁচ দিন পর সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় এক যুবক (২৬) জ্বর, মাথা ব্যথাসহ নানা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। আজ শনিবার সকাল ছয়টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছ, এ ঘটনার পর মারা যাওয়া যুবকের বাড়িসহ ছয়টি বাড়ি ও একটি রওজা শরিফ লকডাউন করা হয়েছে। ওই যুবকের প্রতিবেশীসহ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করার প্রস্তুতি চলছে।

ওই যুবকের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য জানান, মৃত যুবক ও তাঁর স্ত্রীসহ পাঁচজন গত ২০ এপ্রিল গভীর রাতে বাড়িতে আসেন। খবর পেয়ে পরেদিন সকালে তিনি ও গ্রাম-পুলিশ মিলে স্থানীয় রওজা শরিফের দ্বিতীয় তলায় পাঁচজনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখেন।

ওই যুবকের মা জানান, তাঁর ছেলে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করতেন। থাকতেন ভাড়া বাসায়। সেখানে তিনি কিছু খেতে পারতেন না ও মাথা যন্ত্রণা করতেন। এ অবস্থায় ২০ এপ্রিল বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে কবিরাজ দেখানো হয়। শুক্রবার দুপুরে মারাত্মক অসুস্থ হলে স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে দেখানো হয়। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁরা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে রাত তিনটায় ভর্তি করার পর শনিবার সকাল ছয়টা দিকে মারা যায়।

ধলবাড়িয়া এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসক জানান, শুক্রবার রাত আটটার দিকে তাঁর কাছে ওই রোগীকে নিয়ে আসা হয়। তিনি জানতে চান সাতক্ষীরার বাইরে থেকে এসেছে কিনা। তাঁরা অস্বীকার করে। তখন গায়ে জ্বর ছিল না। মাথা যন্ত্রণার কথা বললে প্যারাসিটামল দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে রোগীর বাড়ি থেকে মুঠোফোনে বলা হয়, রোগীর অবস্থা খুব খারাপ, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তখন তিনি তাঁদের হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মারা যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন কয়েক দিন আগে ঢাকা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি এসেছিলেন।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ব্রাদার সিরাজুল ইসলাম জানান, রোগীর ইতিহাস গোপন করে ভর্তি করেছিল তাঁর অভিভাবকেরা। রোগীর সঙ্গে একজন নারী ছিলেন। মারা যাওয়ার পর তিনি বলেছেন, কয়েক দিন ধরে গায়ে জ্বর ও মাথা ব্যথা ছিল।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা শেখ তৈয়েবুর রহমান জানান, মৃত ব্যক্তির সতর্কতার সঙ্গে দাফন করার কথা বলা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি ও প্রতিবেশী যাদের সংস্পর্শে এসেছে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজ্জামেল হক জানান, মৃতের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁদের বাড়িসহ ছয়টি বাড়ি ও একটি রওজ শরিফ লকডাউন করার পাশাপাশি লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।