সাত মাসের ছেলেকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ
সকাল থেকে শিশুটি ও তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে খুঁজতে শিশুটির দেখা মেলে। তখন তার নিথর দেহ বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসছিল। তবে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, দুপুর পর্যন্ত তা জানা ছিল না পরিবারের সদস্যদের। দুপুরের দিকে থানায় গিয়ে শিশুটির মা ঘটনার বর্ণনা দেন পুলিশের কাছে।
এ ঘটনা শেরপুর শহরের মধ্য নওহাটা এলাকার। মারা যাওয়া শিশুটির নাম আরাফাত তাসিম। সে শেরপুর শহরের মধ্য নওহাটা এলাকার আবু সামারের ছেলে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, পরিবারের সদস্যদের কাছে খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর তাঁরা ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠান। তখন থেকেই শিশুটির মা নুরুন্নাহারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে দুপুরের দিকে তিনি থানায় এসে নিজের ছেলেকে পুকুরের পানিতে ফেলে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
কেন হত্যার ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ। তবে এ বিষয়ে সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হত্যার ঘটনায় নুরুন্নাহার নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করার পর বিকেলে শিশুটির চাচা আবদুল মান্নান তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর নুরুন্নাহারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঘটনার সময় শিশুটির বাবা আবু সামার ব্যবসায়িক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
শিশুটির নানি মুর্শিদা বেগম বলেন, চার ভাইবোনের মধ্যে আরাফাত সবার ছোট। প্রায় সাত মাস আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আরাফাতের জন্ম হয়। তার জন্মের পরই মা নুরুন্নাহার অসুস্থ হয়ে পড়েন ও অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করেন। তিনি আরাফাতকে সহ্য করতে পারতেন না। এ জন্য বড় বোনরা মিলে আরাফাতের দেখাশোনা করত। বুধবার সকালে আরাফাত ও নুরুন্নাহারকে ঘরে দেখতে না পেয়ে আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনেরা। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে আরাফাতের লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়।
মুর্শিদা বেগম বলেন, নুরুন্নাহার মানসিকভাবে অসুস্থ। ছোট ছেলেকে সহ্য করতে পারতেন না। এ কারণেই তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন।