Thank you for trying Sticky AMP!!

সিরাজগঞ্জে আরেকটি বিরল শকুন উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উদ্ধার করা বিরল শকুন ‘হিমালয়ী গৃধিনী’। আজ মঙ্গলবার বিকেলে

এবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা থেকে বিরল প্রজাতির একটি শকুন উদ্ধার করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠন দ্য বার্ড সেফটি হাউসের সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের বিশ্বাসবাড়ি উত্তরপাড়া থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বিশ্বাসবাড়ি উত্তরপাড়ার কাঁচা রাস্তায় শকুনটিকে হাঁটতে দেখেন মনিরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক দোকানদার। শকুনটি উড়তে না পারায় তিনি শকুনটিকে ধরে বেঁধে রাখেন। বিষয়টি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন ও রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানতে পেরে দ্য বার্ড সেফটি হাউসের সভাপতি মামুন বিশ্বাসকে জানান।
মামুন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে বিকেল চারটার দিকে তিনি ও তাঁর সহকর্মী সাইদুর রহমান শকুনটিকে উদ্ধার করে তাঁদের হেফাজতে নেন। শকুনটি উদ্ধারে বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিসুর রহমান সার্বিক সহযোগিতা করেন বলে জানান তিনি।

মামুন বিশ্বাস বলেন, শকুনটি ‘হিমালয়ী গৃধিনী’ (Gyps himalayensis) প্রজাতির। এটি ওই এলাকায় ঘুরতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।এ সুযোগে স্থানীয় ওই ব্যক্তি আটক করে রাখেন। শকুনটি উদ্ধারের পর খাবার দেওয়া হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী শনিবার রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তার কাছে শকুনটিকে হস্তান্তর করা হবে।

উদ্ধার শকুনটি ‘হিমালয়ী গৃধিনী’ (Gyps himalayensis) প্রজাতির। হিমালয়ী গৃধিনী ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুটি শকুন প্রজাতির একটি।
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উদ্ধার করা বিরল শকুন ‘হিমালয়ী গৃধিনী’। আজ মঙ্গলবার বিকেলে

এর আগে ১০ ডিসেম্বর রায়গঞ্জ উপজেলার ধুবিল ইউনিয়নের চর ধুবিল এলাকা থেকে আরেকটি হিমালয়ী গৃধিনী শকুন উদ্ধার করে পরিবেশবাদী সংগঠন দ্য বার্ড সেফটি হাউসের সদস্যরা। ১৬ ডিসেম্বর শকুনটি দিনাজপুর শকুন উদ্ধার ও পরিচর্যা কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়।

হিমালয়ী গৃধিনী ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় দুটি শকুন প্রজাতির একটি। প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার (আইইউসিএন) তাদের লাল তালিকাভুক্ত প্রাণীগুলোর তালিকায় হিমালয়ী গৃধিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটিকে তালিকার সাতটি বিভাগের মধ্যে ‘প্রায় হুমকির মুখে’ (এনটি) বিভাগে রাখা হয়েছে।