Thank you for trying Sticky AMP!!

সিরাজগঞ্জে মাংস ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা এবং গরু–ছাগল জবাইয়ের চার ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশ দেওয়ায় বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের মাংস ব্যবসায়ীরা। বুধবার জেলা শহরের বড়বাজারসহ জেলার কোথাও গরু, ছাগল জবাই ও বিক্রি হয়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন তাঁরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান তিন ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। ওই সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাংস নষ্ট করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে গরু, ছাগল জবাইয়ের চার ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশনা দিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকুল শেখ প্রথম অলোকে বলেন, ‘আমাদের তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। কেন তা জানি না। এ ছাড়া গরু ছাগল জবাইয়ে চার ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? একটি গরুর কমপক্ষে চার থেকে সাত মণ মাংস হয়। সেই মাংস চার ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি করা কীভাবে সম্ভব? আমরা জেলার সব ব্যবসায়ীকে নিয়ে বৈঠক করেছি। যখন-তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা যাবে না। আর গরু-ছাগল জবাইয়ের চার ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো, আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাব।’

ইউএনও সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, নিয়ম মেনেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গরু, ছাগল জবাইয়ের চার ঘণ্টার মধ্যে সব মাংস বিক্রির নির্দেশনা আছে বলেও তিনি জানান।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে বাসি–পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ ছিল। এ ছাড়া মাংস ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে আলোচনা-কর্মশালাসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মানুষের স্বাস্থ্যরক্ষায় আইনের ও নিয়মের মধ্যে যা থাকে, সেটা মেনেই সবাইকে ব্যবসা পরিচালনা করা উচিত।