Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলিন্ডার গ্যাসের আগুনে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু, চারজন আশঙ্কাজনক

আগুন

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ ছিদ্র হয়ে ছড়িয়ে পড়া আগুনে দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে এক নারী মারা গেছেন। আজ রোববার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।

মারা যাওয়া নারীর নাম সিপাইনেছা (৬০)। তিনি মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাজিপুর গ্রামের আবদুস সালামের স্ত্রী। এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ বাকি আটজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া নারীর বড় ছেলে মুক্তার হোসেন জানান, তাঁর মা সিপাইনেছা আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকালের দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ তাঁর ছোট ভাই কামাল মিয়া (৩৫), ছোট বোন তাসলিমা আক্তার (২৫), সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাতিজি জুয়েনা আক্তার (২০) ও পারভীন আক্তারের (১২) অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম বলেন, অগ্নিদগ্ধ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পারভীন আক্তারের শরীরের ৬০ শতাংশ এবং কামালের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে মিঠামইন উপজেলার কাটখাল গ্রামের আবদুস সালামের বাড়ির রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপে ছিদ্র হয়ে গ্যাস পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রান্না করার জন্য সিপাইনেছা দেশলাইয়ের কাঠি দিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে থাকা নারী-শিশুসহ ৯ জন অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁরা হলেন আবদুস সালামের স্ত্রী সিপাইনেছা, ছেলে কামাল মিয়া ও আনোয়ার হোসেন, মেয়ে তাসলিমা আক্তার, নাতি জুয়েনা আক্তার, পারভীন আক্তার, উম্মে হাবিবা, উম্মে হানি ও তাহেরা। স্বজনেরা তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।