Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটে ধীরগতিতে পানি নামছে, বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে

নগরের তা‌লতলা সড়কে এখন বন্যার পা‌নি অনেকটা কমেছে। আজ শুক্রবার সকালে

সিলেট নগর ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতেও ধীরে ধীরে বন্যার পানি নামছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমেছে। এতে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসা–বাড়িতে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গতকাল থেকে বিভিন্ন নদ–নদীর পানি ধীরগতিতে কমছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে গতকালের তুলনায় আজ পানি কমেছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি ১৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটারে অবস্থান করছিল। তবে আজ সকাল ৯টায় সেটি কমে ১৩ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর সিলেট পয়েন্টে বৃহস্পতিবারের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ কমে ১০ দশমিক ৯০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে গতকাল পর্যন্ত ১৭ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটারে ছিল। তবে আজ ওই পয়েন্টে পানির পরিমাপ জানাতে পারেনি পাউবো। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি গতকালের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়ে ১৩ দশমিক ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বৃহস্পতিবারের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য ৬ সেন্টিমিটার কমে ১০ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি কমে ৮ দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া লুভা নদীর পানি কমে ১৩ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার এবং সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ১০ দশমিক ৮৪ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার জমে থাকা পানি থেকে এখন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে

আজ সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত যেখানে কোমরসমান পানি ছিল, সেখানে পানির উচ্চতা কমে হাঁটু পর্যন্ত হয়েছে। তবে এখন পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং পানি কালো রং ধারণ করেছে। নগরের তালতলা এলাকা, শহাজালাল উপশহর, তোপখানা, কালীঘাট, শেখঘাট, লালাদিঘীর পাড়, ছড়ারপার, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, শাহজালাল উপশহর এলাকাতেও পানি কমতে দেখা গেছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরের অভ্যন্তরে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে মানুষ ঘরে ফেরা শুরু করেছেন। এ ছাড়া নগরের অভ্যন্তরে প্লাবিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা এবং মেডিকেল দলের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।