Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনে হাবিবুর পেলেন নৌকার টিকিট

সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন হাবিবুর রহমান

আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। সব মিলিয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেছিলেন ২৫ জন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার টিকিট পেলেন হাবিবুর রহমান হাবিব। জেলা আওয়ামী লীগের এই সদস্য বয়সেও অন্যদের চেয়ে ছোট।

স্থানীয় একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, এক যুগ ধরে তিনি এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক-ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ নিতেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তিনি গরিব ও বিপাকে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও তাঁকে পছন্দ করেন। এটাই তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

মনোনয়ন পাওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি স্কুলজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। পরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী হয়েও যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। এক যুগ ধরে দেশে অবস্থান করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সুখে-দুঃখে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আছি। জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম। সেই ফলই আমি পেয়েছি। দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছেন, দলের সবাইকে নিয়ে সেটা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালের ২৭ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার গ্রামে হাবিবুর রহমান জন্ম নেন। ১৯৮৬ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এরপর দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ও এমসি কলেজ ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যও হন। এমসি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, ১৯৯৫ সালে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে লন্ডন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়ার পাশাপাশি ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এক যুগ আগে দেশে ফিরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় রাজনীতিতে কাজ করতে থাকেন।
বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া বলেন, ‘তৃণমূলের একজন সৎ ও গ্রহণযোগ্য মানুষ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা তো বটেই, এলাকার মানুষও এতে খুশি হয়েছেন। কারণ, যিনি দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, তিনি সব সময়ই সুখে-দুঃখে আমাদের সঙ্গে আছেন। আমরা তাঁর মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। তাঁর মতো গ্রহণযোগ্য জনপ্রতিনিধিই এলাকার মানুষ চায়।’

সিলেট-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন আতিকুর রহমান। তাঁরা দুজন ছাড়াও এখানে সম্ভাব্য আরও কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে স্থানীয় ভোটাররা জানিয়েছেন। এর আগে গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৮ জুলাই এ আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।