Thank you for trying Sticky AMP!!

সুনামগঞ্জে আদালতের রায়ে সংসারে ফিরলেন ৫৪ দম্পতি

আদালতের রায়ে সংসারে ফেরায় ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয় দম্পতিদের। আজ সোমবার সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে

যৌতুকসহ পারিবারিক নানা ঝামেলা নিয়ে স্বামীদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে আদালতে পৃথক মামলা করেছিলেন ৬৫ নারী। এর মধ্যে ৫৪টি মামলার রায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল করে দিয়েছেন আদালতের বিচারক। এরপর আদালত প্রাঙ্গণ থেকে এসব নারীরা ফিরেছেন তাঁদের স্বামীর ঘরে। বাকি ১১টি মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন সোমবার পৃথক এই ৬৫ মামলার রায় দেন। এতে ৫৪টি পরিবার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়। পরে স্বামীরা স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ফেরেন। আদালতের কর্মচারীরা তখন তাঁদের ফুল দিয়ে শুভকামনা জানান। একই সময়ে শিশুদের দেওয়া হয় চকলেট।

এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বর একইভাবে ৪৭টি পৃথক মামলার রায়ে ৪৭ দম্পতিকে একইভাবে পুনরায় সংসার করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন একই আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন। সোমবার হওয়া আদালতের এই ব্যতিক্রমী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নান্টু রায়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, যৌতুকসহ পারিবারিক নানা ঝামেলায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সংসার থেকে বিতাড়িত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ৬৫ নারী তাঁদের স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিল। বিভিন্ন সময়ে মামলার শুনানি করে বিচারক উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের সন্তানদের এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন ধরে রাখার ব্যবস্থা করেন। এরপর একসঙ্গে সোমবার এসব মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৫৪ দম্পতিকে পারিবারিক মিলনের ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়া অন্য ১১ জনের বিরুদ্ধে স্ত্রীদের করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নান্টু রায় বলেন, নির্যাতনের শিকার হয়ে নারীরা তাঁদের ছোট ছোট সন্তান নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে অনিশ্চিত এক জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্ধকার জীবন থেকে স্ত্রীকে স্বামীর ও সন্তানদের পারিবারিক বলয়ে আবদ্ধ করে দিয়েছেন বিচারক। এটি একটি উদাহরণ। এতে সমাজ ও পরিবারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।