Thank you for trying Sticky AMP!!

সুনামগঞ্জে ধসে পড়ার ৩ দিন পর ভগ্নাংশ সরানোর কাজ শুরু

সুনামগঞ্জের পাগলা–জগন্নাথপুর–আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের কোন্দানালায় নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ধসে পড়া সেতু

সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের কোন্দানালা সেতুটি ধসে যাওয়ার তিন দিন পর ভগ্নাংশ সরানোর কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেতু এলাকায় লাল কাপড় টানিয়ে শ্রমিক দিয়ে ধসে পড়া অংশ সরানোর কাজ শুরু হয়।

এলাকাবাসী এবং সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত রোববার রাতে কোন্দানালা সেতুর গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক জ্যাকের (ক্রেন) পাইপ ফেটে পড়ে। এতে একটি গার্ডার আরেকটির ওপর পড়ে গিয়ে সেতুর পাঁচটি গার্ডার ধসে পড়ে। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে, আরেকটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে।

সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব জাকির হোসেন। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শিশির কুমার রাউত। তিন সদস্যের এই কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ৫০ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের কোন্দানালা সেতুর নির্মাণ ব্যয় ১৩ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে তিন কোটি টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্সের প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ বলেন, হাইড্রোলিক জ্যাকের পাইপ ফেটে দুর্ঘটনায় গার্ডার ধসে তাঁদের ৬০–৭০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাঁরা এই সড়কে একই ডিজাইনের আরও ছয়টি পিসি গার্ডার সেতুর কাজ করছেন। সব সেতুর কাজ সঠিকভাবে করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় তো কিছু করার নেই। তিনি বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষের মেয়াদ রয়েছে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেয়াদের আগেই সেতুর কাজ শেষ করা হবে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যথাসময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে দ্রুত ধসে যাওয়া মালামাল সরিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করতে ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। ঠিকাদার আজ থেকে কাজ শুরু করেছেন। তিন মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হবে বলে তাঁর আশা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আমরা ধসে যাওয়া মালামাল সরিয়ে দ্রুত কাজ শুরু করতে বলেছি। এটি নিছক দুর্ঘটনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সরকারের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা তাদের এ কাজের জন্য কোনো বিল পরিশোধ করিনি।’