Thank you for trying Sticky AMP!!

সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, লাখো মানুষের দুর্ভোগ

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধারাগাঁও-নবীনগর সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর বন্যার সময় সড়কের তিনটি স্থান ভেঙে যায়। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহায় মানুষ।

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধারারগাঁও এলাকার সড়ক বন্যায় ভেঙে গেছে। বিকল্প সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধারাগাঁও-নবীনগর সড়ক দিয়ে সুরমা নদীর উত্তর পারের চার ইউনিয়নের এক লাখ মানুষ যাতায়াত করে জেলা শহরে। কিন্তু চার বছর ধরে ধারাগাঁও এলাকায় সড়ক বন্যার পানির তোড়ে ভাঙছে। পানি থাকলে মানুষ খেয়ানৌকায় বা বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। পানি নেমে গেলে ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে তাদের ভোগান্তি আরও বাড়ে।

স্থানীয় লোকজন জানান, সদর উপজেলার সুরমা নদীর উত্তর পারের সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর, রঙ্গারচর ইউনিয়নের একাংশের মানুষজন সুরমা নদীর হালুয়ারঘাট খেয়া পার হয়ে ওই সড়ক দিয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করে। একইভাবে পূর্ব পারের কুরবাননগর ইউনিয়নের মানুষজনও ওই সড়ক ব্যবহার করে।

ধারাগাঁও এলাকায় চার বছর ধরে বন্যার পানি সুরমা নদীর তীর উপচে আসে। ফলে সড়ক ভেঙে নিয়ে যায়। এবারের বন্যায় সড়কের তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ধারাগাঁও মোড়ের কাছের অংশে ভেঙেছে বেশি। এখানে সড়কের ৩০০ মিটার ধসে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কিছু সংস্কারকাজ করলেও স্থায়ীভাবে কাজ না হওয়ায় মানুষজনের দুর্ভোগ কমছে না। এবারও সড়ক ভাঙার পর প্রথমে লোকজন কিছুদিন নৌকায় পারাপার হয়েছে। এরপর একটি বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। এখন পানি নেমে যাওয়ায় সড়কের পাশে বস্তা ফেলা হয়েছে যাতায়াতের জন্য।

এবার সড়ক ভাঙার পর তাৎক্ষণিক কিছু সংস্কারকাজ করা হয়েছে। এখন মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে আরও কিছু কাজ হবে।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর
বন্যায় ভেঙে গেছে সড়ক। বিকল্প সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধারারগাঁও এলাকায়

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, এ সড়ক বেশ পুরোনো। শহর থেকে ধারাগাঁও পর্যন্ত এটা তিন কিলোমিটার। আবার সুরমা পার হওয়ার পর প্রায় ১২ কিলোমিটার গেছে সড়কটি।

ধারাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাজন মাহবুব বলেন, বন্যা হলেই দুর্ভোগে পড়েন তাঁরা। যে স্থানটি প্রতিবছর ভাঙে, সেখানে আগে একটি ছোট কালভার্ট ছিল। বছর পাঁচেক আগে সেটি বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। পরে সেখানে মাটি ফেলে ইটের সলিং করে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বন্যা হলে সড়ক ভাঙছে।

মোমেন আহমদ জানান, তাঁদের এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে শহর থেকে লোকজন গিয়ে সেবা নেন। কিন্তু সড়ক ভাঙার কারণে মানুষজন যাতায়াত করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন।

কুরবাননগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আবুল বরকত বলেন, সড়কটি বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে হলে প্রথমে নদীতীরের বাঁধ উঁচু করতে হবে। পাশাপাশি সড়কের ওই অংশও উঁচু করতে হবে। দুই পাশে প্রতিরক্ষা দেয়াল ও একটি কালভার্ট দিতে হবে, যাতে সড়কে পানির চাপ কমে। তাহলেই সড়ক টিকবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, এবার সড়ক ভাঙার পর তাৎক্ষণিক কিছু সংস্কারকাজ করা হয়েছে। এখন মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে আরও কিছু কাজ হবে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হচ্ছে।