সুন্দরবনে একবার জাল ফেলেই উঠল ছয় লাখ টাকার মাছ
সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে শতাধিক লাউভোলা মাছ। একেকটি মাছের ওজন ৭ থেকে ১৭ কেজি পর্যন্ত। মাছগুলো ওই জেলে আজ শুক্রবার ৫৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়। একবারেই ভাগ্য খুলে গেছে ওই জেলের।
সৌভাগ্যবান ওই জেলের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সুন্দরবনসংলগ্ন টেংরাখালি গ্রামের বাসিন্দা।
রফিকুল বলেন, তিনি সুন্দরবনসংলগ্ন রায়মঙ্গল নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নদীতে জোয়ার আসে। ওই জোয়ারে তিনি জাল পাতলে ধরা পড়ে একঝাঁক মাছ। পরে দেখেন একসঙ্গে জালে ধরা পড়েছে ১২৬টি লাউভোলা মাছ, যার ওজন হয়েছে ১ হাজার ৫১ কেজি। প্রতিটি মাছের ওজন ৭ থেকে ১৭ কেজি পর্যন্ত। আজ এই ১ হাজার ৫১ কেজি মাছ বিক্রি করেছেন তিনি ৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়। তাঁরই এলাকার মাছ ব্যবসায়ী নূর হোসেন গাজী মাছগুলো কিনে শ্যামনগর বংশীপুর সোনার মোড়ের মদিনা ফিশের স্বত্বাধিকারী হারুন উর রশিদের মাছের আড়তে ৬ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।
মাছ বিক্রি করে একসঙ্গে অনেক টাকা পেয়ে জেলে রফিকুল ইসলামের পরিবারে বইছে আনন্দের জোয়ার।
মৎস্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ জানান, সামুদ্রিক মাছ হিসেবে লাইভোলা বা ভোলা মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু। স্বাদের পাশাপাশি এই মাছের চাহিদা ও মূল্য চড়া হওয়ার মূল কারণ হলো এ মাছের ঔষধি গুণ। বিদেশে এ মাছের পটকার (ফুলকা) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে এ মাছ রপ্তানি হয়। গ্রেড অনুযায়ী প্রতি কেজি পটকার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। লাউভোলা মাছের পটকা দিয়ে মূল্যবান ওষুধ (ক্যাপসুলের খোল) ও প্রসাধনী তৈরি হয় বলে জানান তিনি।