Thank you for trying Sticky AMP!!

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর উদয়ন ফ্রি ক্যাডেট একাডেমী কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। সকাল আটটায় তোলা ছবি

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আপাতত কোনো আশঙ্কা দেখছেন না কাদেরের ভাই

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আজ শনিবার সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে। সকাল আটটায় ইভিএমে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

সকাল আটটার আগেই ভোট দেওয়ার জন্য বড় রাজাপুর উদয়ন ক্রিকেট একাডেমি কেন্দ্রে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। তিনি সকাল আটটায় এ কেন্দ্রে ভোট দেন। ভোটদান শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। আগে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নানা আশঙ্কা থাকলেও আপাতত তিনি সে রকম কোনো লক্ষণ দেখছেন না। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে তাঁকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সকাল সাড়ে সাতটায় বড় রাজাপুর উদয়ন ক্রিকেট একাডেমিতে নারী ভোটারদের উপস্থিতি চেখে পড়ে। কেন্দ্রের ভেতর স্থান সংকুলান না হওয়ায় পার্শ্ববর্তী রাস্তায় অনেক ভোটারকে লাইনে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সকাল নয়টায় মাকসুদা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র এবং বসুরহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে ও নারী ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। একসময় পুরুষ ভোটারদেরও বেশ উপস্থিতি দেখা যায়।

এদিকে ভোট গ্রহণে ধীরগতির কারণে নারী ভোটাররা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করার পর ভোট দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে কাউকে কাউকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা যায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের এই কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর উদয়ন প্রি-ক্যাডেট একাডেমি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন

লাইনে দাঁড়ানো নারী লুৎফুন নাহার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সকাল সাতটার সময় ভোটকেন্দ্রে এসেছেন। দীর্ঘ সময় দাঁড়ানোর পরও তিনি ভোট দিতে পারেননি। ভোটের যে গতি দেখছেন, তাতে আরও দুই ঘণ্টায় ভোট দিতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। এ অবস্থায় তিনি বাড়িতে থাকা ছোট বাচ্চা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। একই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা আরেক নারী ভোটার দেলোয়ারা বেগম বলেন, সকাল সাতটায় ভোটকেন্দ্রে এসে প্রায় চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ভোট দিতে পারেননি। তাই তিনি বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। দুপুরের পর সুযোগ পেলে ভোট দিতে আসবেন। না হলে আর কেন্দ্রে আসবেন না।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বসুরহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. কামাল পারভেজ প্রথম আলোকে বলেন, ভোট ধীরগতিতে হচ্ছে, এটা তিনি বুঝতে পারছেন। কিন্তু ভোটিং মেশিনের ওপর তো কারও হাত নেই। একজন ভোটার ভোট সম্পন্ন করার পর আরেকজন ভোটারের ভোটদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এতে খানিক বেশি সময় লেগে যায়। এ ক্ষেত্রে ব্যালটে ভোট নেওয়া হলে গোপন বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ভোট নেওয়া যেত। কিন্তু ইভিএম মেশিনে সে রকম সুযোগ নেই।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, তাঁর কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ৩ হাজার ৯৯১ জন। এর মধ্যে বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৯৪৪টি।