Thank you for trying Sticky AMP!!

সৈয়দপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়নি

লাশ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ছোটন অধিকারী (৫৪) নামের একজনের মৃত্যুর ঘটনায় আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা হয়নি।

নিহত ছোটনের ভাতিজা সুদীপ্ত অধিকারী বলেন, মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেল নাগাদ ছোটনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরে সন্ধ্যায় সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় শ্মশানে ছোটনের মরদেহ দাহ করা হবে।

নিহত ছোটনের বাড়ি সৈয়দপুর শহরের টাটিয়া লেন এলাকায়। ছোটনের স্ত্রী শ্রাবণী অধিকারী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী সবার কাছে প্রিয় মানুষ ছিলেন। এলাকার কোনো মানুষের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া-বিবাদ হয়নি। তাঁর কোনো শক্রও ছিল না। পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম রয়েলের পক্ষ নিয়ে ভোট করেছিলেন তিনি, এটাই কি তাঁর অপরাধ ছিল!’ তিনি ছোটনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

ছোটনের ভাতিজা সুদীপ্ত অধিকারী বলেন, তাঁর চাচা সৈয়দপুর শহরে ব্যবসা করতেন। তিনি দাবি করেন, পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সেতু প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলামের হয়ে কাজ করেছেন তাঁর চাচা। এ কারণে উটপাখি মার্কার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকেরা সৈয়দপুর মহিলা কলেজ কেন্দ্রের সামনে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। এতে তাঁর মৃত্যু হয়। নজরুল ইসলাম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। জয়ের পরপরই তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল রোববার দুপুরে সৈয়দপুর পৌরসভার নির্বাচন চলাকালে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকের সংঘর্ষে ছোটন অধিকারী মারা যান এবং দুজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।