Thank you for trying Sticky AMP!!

সোনার দোকানে লুট করে পলাতক ছিলেন ২৩ বছর

হাতকড়া

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার একটি সোনার দোকানের মালামাল লুট করে পালিয়েছিলেন রিপন কুমার সাহা। সেটি ১৯৯৯ সালের ঘটনা। এরপর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মনাম ব্যবহার করে পালিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল বুধবার বিকেলে খুলনা র‍্যাব-৬–এর সদস্যরা পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি র‍্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

রিপন কুমারের বাড়ি খুলনার রূপসা উপজেলার সেনের বাজার এলাকায়। পেশায় তিনি একজন স্বর্ণ কারিগর। নাঙ্গলকোটের ওই দোকানেও স্বর্ণের কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। সেখান থেকে দোকানের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পিরোজপুরেও তিনি সোনার দোকানে কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন সোনার দোকানে ডাকাতি করার কথা স্বীকার করেছেন বলে র‍্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রিপনকে রূপসা থানায় হস্তান্তর করেছে র‍্যাব-৬।

র‍্যাব-৬–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ বলেন, সোনার দোকানে ডাকাতি করার ঘটনায় ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ নাঙ্গলকোট থানায় একটি মামলা হয়। ২০০৯ সালে ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে রিপন কুমারকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যেহেতু মামলার এজাহারে রিপনের বাড়ি খুলনার রূপসা থানা এলাকায় বলে উল্লেখ ছিল, এ কারণে রিপনকে গ্রেপ্তারের জন্য ওই থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়। কিন্তু রিপন পলাতক থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি ওই থানা–পুলিশ।

র‍্যাব কর্মকর্তা মোসতাক আহমদ আরও বলেন, ওই থানা থেকে রিপনের ব্যাপারে তথ্য নিয়ে খোঁজ নিতে শুরু করে র‍্যাব-৬–এর একটি দল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দলটি জানতে পারে রিপন পিরোজপুর সদর উপজেলায় এক সোনার দোকানে কাজ করছেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাতে র‍্যাব রিপনকে থানায় হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।