Thank you for trying Sticky AMP!!

হালুয়াঘাটে সড়কে প্রস্থ দরকার ৩৬ ফুট, মিলেছে ৩০ ফুট

সরকারি জমি থাকলেও সড়ক ৩০ ফুটের বেশি প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সড়কের বাকি জমিতে দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সড়কের পাশের সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে সড়ক প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা শহরের উত্তর বাজার এলাকায়

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা থেকে হালুয়াঘাট শহর হয়ে তিনকোনা পর্যন্ত সড়কটি ৩৬ ফুট প্রশস্ত করা হবে। কিন্তু হালুয়াঘাট শহরে সরকারি জমি থাকলেও সড়কটি ৩০ ফুটের বেশি প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। সড়কের বাকি জমিতে দোকানপাটসহ অবৈধ স্থাপনা তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই সড়কের দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। গত বছর জুলাইয়ে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা। সড়কটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জন্মভূমি। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ৯০ লাখ ২৪ হাজার টাকা। এই সড়কের ওপর দিয়ে কড়ইতলী ও গোবরাকুড়া স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করবে মালবাহী গাড়ি।

হালুয়াঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি নাদিম আহমেদ বলেন, সড়কটি প্রশস্ত হলে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে সুবিধা পাবে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজনের অবৈধ সুবিধার জন্য সড়কটি প্রশস্ত করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সড়কটি প্রশস্ত করা হোক।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সড়কটির ৬০০ মিটার অংশ হালুয়াঘাট শহরের ভেতর দিয়ে গেছে। কামারপট্টি এলাকা থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত এই অংশের দুই পাশে সরকারের খাস, সওজ ও জেলা পরিষদের জমি আছে। এসব জমিতে শতাধিক দোকানপাটসহ পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারণে সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গত ৪ মার্চ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত আবেদন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযান চালিয়ে কিছু দোকানপাট ভেঙে দেন। এতে সড়কের জন্য ৩০ ফুট জায়গা পাওয়া যায়। পাশে আরও সরকারি জমি থাকার পরও ৩৬ ফুট জায়গা ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

জানতে চাইলে ইউএনও রেজাউল করিম বলেন, সড়কটি প্রশস্ত করতে প্রাথমিকভাবে অনেকে ছয় ফুট করে জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আরও জায়গা ছাড়তে হবে। অনেকেই জমি নিজেদের নামে রেকর্ড করে ফেলেছেন। এসব জমি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।

সওজ সূত্র জানায়, উত্তর বাজার এলাকায় সড়কের পাশে শহরের বাসিন্দা মো. রিপন ও আবুল কালাম আজাদ অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সওজের ফুলপুর কার্যালয়ের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আজিজুল হক জমি ছেড়ে দিতে নোটিশ দেন। কিন্তু এতে কাজ হয়নি।

এ ব্যাপারে কথা বলতে মো. রিপন ও আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ ধরেননি। পরে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। ময়মনসিংহ সওজের বিভাগীয় প্রকৌশলী ওহেদুজ্জামান বলেন, অবৈধ দখলদারদের জমি ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।