Thank you for trying Sticky AMP!!

হবিগঞ্জে রড-হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত

আহত সাংবাদিকের নাম তারেক হাবিব

হবিগঞ্জে রড, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে একদল যুবক। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ থানাসংলগ্ন শনির আখড়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিকের নাম তারেক হাবিব। তিনি দৈনিক আমার হবিগঞ্জ নামের একটি স্থানীয় পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক। তারেক বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তারেক হাবিব প্রথম আলোকে বলেন, পত্রিকার সম্পাদকের নির্দেশনায় একটি অনুষ্ঠানের খবর সংগ্রহ শেষে শনিবার দুপুরে রিকশায় করে অফিসে যাচ্ছিলেন তিনি। বেলা দুইটার দিকে তিনি শনির আখড়া এলাকায় পৌঁছান। এ সময় রিকশাটির গতিরোধ করেন এমদাদুল ইসলাম ওরফে সুহেল, শাওন, জুয়েলসহ কয়েকজন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁরা রড, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। একপর্যায়ে রিকশা থেকে টেনেহিঁচড়ে সড়কে নামিয়ে তাঁকে মারধর করেন। সঙ্গে থাকা মানিব্যাগ ও মুঠোফোন সেট ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

তারেক হাবিবের ভাষ্য, হামলাকারীরা তাঁর পূর্বপরিচিত। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কোনো পূর্ববিরোধ নেই। সম্প্রতি তাঁদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলেও মনে পড়ে না। তবু কেন এই হামলা, বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি। হামলার ঘটনার সময় দুজন পুলিশ সদস্য থানার পাশেই ছিলেন জানিয়ে এই সাংবাদিক বলেন, হয়তো ওই পুলিশ সদস্যরা ঘটনাটি খেয়াল করেননি। পরে হাসপাতালে ভর্তির পর পুলিশ তাঁর খোঁজখবর নিয়েছে।

তারেক হাবিব দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকায় আছেন ৭-৮ মাস ধরে। পত্রিকায় প্রধান প্রতিবেদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি রাজনীতিসংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনগুলো করেন। হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।

পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, পত্রিকায় প্রকাশিত কোনো খবরের কারণেই এ হামলা বলে তাঁরা মনে করছেন। হয়তো হামলাকারীদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু কোনো খবর তাঁদের পরিচিত কারও বিরুদ্ধে গেছে।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক তারেক হাবিবের ওপর হামলার ঘটনাটি শুনেছি। আমি নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনাটি থানার পাশেই ঘটেছে। এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তারপরও আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’