Thank you for trying Sticky AMP!!

হবিগঞ্জে ১০ শর্তে বসবে ইফতারির পসরা

সীমিত পরিসরে হবিগঞ্জ শহরে ইফতারি বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত বিশেষ সভায় এ তথ্য জানানো হয়। তবে ইফতারির পসরা বসাতে ব্যবসায়ীদের ১০টি শর্ত দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শহরে ইফতারির পসরা বসাতে জেলা প্রশাসনের ব্যবসা–বাণিজ্য শাখায় নাম নিবন্ধন করে অনুমতি নিতে হবে। কেবল লাইসেন্সধারী ও হালনাগাদকৃত ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ পাবেন। আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।

তবে জেলা প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সহায়তা করবে উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ শাখার নেতৃবৃন্দ। এতে সই করেছেন সংগঠনের সভাপতি মো. ইকরামুল ওয়াদুদ ও সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল। তাঁরা করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে আরও ৯টি দাবির পাশাপাশি ইফতারসামগ্রীর দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়েছেন।

ইফতার সামগ্রী বিক্রির জন্য দোকান চালু রাখার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত সভায় ১০টি শর্ত দেওয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—দোকানে বসার ব্যবস্থা রাখা যাবে না, শুধু পার্সেল সার্ভিস দেওয়া যাবে; দোকানের সবার পরনে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক থাকতে হবে; ৩ ফুট দূরত্বে মার্কিং করতে হবে ও বিক্রির সময় ওই দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; বেলা দুইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকবে; রাস্তা/ফুটপাত/খোলা স্থানে কিছু রান্না করা যাবে না; খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল বা রং ব্যবহার করা যাবে না; জিনিসের দাম বাড়ানো যাবে না এবং নিজ দায়িত্বে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, 'অনেক দিন ধরে রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাই অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে সীমিত পরিসরে ইফতারসামগ্রী বিক্রিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক দূরত্ব মানার পাশাপাশি আরও কিছু শর্ত মেনে এ ব্যবসা কার্যক্রম চালাতে হবে। তা না হলে শর্ত অমান্যকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'