Thank you for trying Sticky AMP!!

হাওরে ধান কাটতে দেড় হাজার মজুর পাঠাচ্ছে সিএমপি

হাওর এলাকায় ধান পেকে গেছে। কিন্তু ধান কাটার পর্যাপ্ত শ্রমিক নেই। ধান কাটতে দেরি হলে পাকা ধান পানিতে তলিয়ে সর্বনাশ হতে পারে কৃষকের। হাওরের ধান কাটার জন্য দেড় হাজার মজুর পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। সামাজিক দূরত্বও বজায় রেখে আজ রোববার প্রথম দিন পাঁচটি বাসে ১০০ মজুর হাওর অঞ্চলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ প্রথম আলোকে জানিয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে ধান কাটার মজুরদের জড়ো করে পুলিশ। সেখানে নগর পুলিশের উপকমিশনার এস এম মেহেদী হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মজুরদের বিদায় জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েক দিন আগে ধান কাটার মজুরদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এস এম মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, হাওর অঞ্চলের বিপুলসংখ্যক মানুষ জীবিকার কারণে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় থাকেন। তাঁদের অনেকে এখন ধান কাটার জন্য সেখানে যেতে চান। এই রকম দেড় হাজার জনের তালিকা করা হয়েছে। তাঁরা পর্যায়ক্রমে সেখানে যাবেন। সোমবার থেকে ৪০টি বাসে করে অন্যরা যাবেন।

মেহেদী হাসান আরও জানান, এস আলম কোম্পানি বাস দিয়েছে। বাসগুলোতে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ৪০ আসনের বাসে ২০ জন করে যাত্রী যাচ্ছেন। তাঁরা কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানায় রিপোর্ট করবেন। এরপর স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকবেন। ধান কেটে সেখানে চলে আসবেন। কেউ বাড়িতে যেতে পারবেন না।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, মজুরদের অধিকাংশের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তাঁরা বছরের অন্য সময় জীবন-জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামে আসেন। ধান কাটার মৌসুমে তাঁরা আবার হাওর অঞ্চলে চলে যান। এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ায় তারা আটকে পড়েন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর তাঁদের সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।