হালুয়াঘাটে দেড় কিলোমিটারে ৪ সেতু, কাজে আসছে না
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বিল পেরিয়ে যেতে দেড় কিলোমিটার সড়কে ১৫ বছর আগে এক সারিতে ৪টি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সংযোগ সড়কে ফেলা হয়নি মাটি। অন্যদিকে উচ্চতা কম হওয়ায় বন্যার সময় সেতুগুলো ডুবে যায়। ফলে সেতুগুলো কাজে আসছে না স্থানীয় লোকজনের।
এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের শিবধরা ও ধলিকুড়ি বিলের মধ্য দিয়ে পূর্ব নড়াইল থেকে কাওয়ালিজানের গ্রামে সহজ যোগাযোগের জন্য ২০০৪-০৫ অর্থবছরে চারটি সেতু নির্মাণ করা হয়।
সড়কে মাটি ভরাট না করায় নড়াইল ইউনিয়নের কালিয়ানিকান্দা, চরবাঙ্গাইল্যা, গোপীনগর, থৈইল্যাপাড়া, পূর্ব নড়াইল, মাছাইল, কুমুরিয়া, খালপাড় ও আশপাশ এলাকার হাজারো মানুষের চলাচলে সেতুগুলো কোনো কাজে আসছে না। ফলে এসব গ্রামের লোকজন ৮–১০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে উপজেলা সদর ও পার্শ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলায় যাতায়াত করতে হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, শিবধরা ও ধলিকুড়ি বিলের মধ্য দিয়ে দেড় কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে, যা বেহাল। সেখানে ৬৩ ফুট ১টি ও ৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩টি সেতু রয়েছে।
পূর্ব নড়াইল গ্রামের কৃষক মাজেদুল ইসলাম বলেন, যখন সেতু নির্মাণ করা হয়, তখন কয়েক গ্রামের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্ত সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুগুলো কাজেই আসছে না। এ ব্যাপারে পরবর্তীকালে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
নড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় মাটি ফেলা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবছর বন্যায় রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউএনও মো. রেজাউল করিম বলেন, চারটি সেতুর উচ্চতা অনেক কম। শুষ্ক মৌসুমে অন্তত ওই সড়কে মানুষ যাতে যাতায়াত করতে পারেন, সে জন্য সড়ক ও সংযোগ সড়কে মাটি ফেলে ভরাট করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
-
নাইজারে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান থাকা ঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ
-
প্রথম টি–টোয়েন্টি: তানজিদের অভিষেক, টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
-
সফর বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সাড়ে তিন মাসেই বিদেশ গেলেন প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জন
-
উপজেলা চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে বদির গুলি, থানায় অভিযোগ
-
আমেথি থেকে সরে শেষ মুহূর্তে কেন রায়বেরেলি থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল