Thank you for trying Sticky AMP!!

১৪ দিনে বুড়িমারী দিয়ে ফিরেছেন ১৬২ জন, সবাই কোয়ারেন্টিনে

লালমনিরহাট জেলার মানচিত্র

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৬২ বাংলাদেশি। তাঁদের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ সময় দেশ থেকে ভারতে ফেরত গেছেন ৯৬ জন।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন ও বুড়িমারী অভিবাসন পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফা ২৬ এপ্রিল থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সে দেশে অবস্থানরত যেসব বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ ১৫ দিন বা তারও কম রয়েছে, তাঁদের জন্য যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়। ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অনুমতি নিয়ে আজ রোববার পর্যন্ত ১৬২ জন দেশে ফিরেছেন। আজ এসেছেন ৫২ জন।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রের ভাষ্যমতে, গত ২৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এরপর থেকে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের পাঁচটি হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। তবে এ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে সম্পূর্ণ নিজ খরচে থাকতে হবে। আর তা দেখভাল করবে স্থানীয় উপজেলা ও থানা প্রশাসন।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে ফেরা ১৬২ জনের মধ্যে বিভিন্ন রোগে ভোগা ২৭ জন ছিলেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে (রোগের ধরন অনুযায়ী) পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সেখানে চিকিৎসাসহ ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা গেছে, জেলা ও উপজেলা মিলে পাঁচটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা হয়েছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট জেলা সদরের আবাসিক হোটেল খান, পাটগ্রাম উপজেলার হোটেল রাজ ও সাদিক আবাসিক, আর বুড়িমারী স্থলবন্দরের বেসরকারি আবাসিক হোটেল এভরি ডে, স্বাক্ষর প্লাজা ও সামটাইমস হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তা ছাড়া ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে পাঁচ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।

বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশ অভিবাসন কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসআই) আনোয়ার হোসেন জানান, ভারত থেকে ফিরে আসা আজ ৫২ জনসহ ১৪২ ব্যক্তিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ পাঁচ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, যাঁরা ভারত থেকে আসছেন, তাঁরা করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়েই আসেন। তাঁরা মাঝপথে আক্রান্ত হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। ১৪ দিনের মধ্যে তাঁদের করোনার কোনো লক্ষণ বা কোনো সমস্যা দেখা না দিলে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া আলাদাভাবে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করা প্রয়োজন নেই।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসন নির্দেশনায় বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি যাত্রীদের লালমনিরহাট জেলা সদরসহ পাটগ্রাম ও বুড়িমারীর স্থলবন্দরের পাঁচটি আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। তাঁদের দেখভালের জন্য থানা–পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ রাখা হয়েছে, যাতে তাঁরা বাইরে বের হতে না পারেন।