Thank you for trying Sticky AMP!!

১ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনায় দাঁড়াবে 'বেনাপোল এক্সপ্রেস'

রাজধানী ঢাকা ও দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর যশোরের বেনাপোলের মধ্যে চলাচলকারী বিরতিহীন আন্তনগর ট্রেন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ চুয়াডাঙ্গা ও দর্শনাসহ চারটি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে যাত্রীরা এসব রেলস্টেশন থেকে ওঠানামা করতে পারবেন।

অন্য দুটি স্টেশন হচ্ছে ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুর ও যশোরের ঝিকরগাছা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহিদুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এই যাত্রাবিরতির মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর পথে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে শুভ সূচনা ঘটতে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ জুলাই দুপুরে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা নেড়ে হুইসিল বাজিয়ে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটির উদ্বোধন করেন। তখন থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন বেনাপোল-ঢাকা পথে চলাচল করে। ঢাকা অভিমুখে প্রতি বুধবার এবং ঢাকা থেকে বিপরীত মুখে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে। ট্রেনটির মোট আসন ৮৭১টি। এর মধ্যে শোভন চেয়ার ৭৬৮টি, এসি চেয়ার ৮০টি ও এসি কেবিনে চেয়ার ২৩টি।

চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের জন্য মোট ১১০টি আসন রাখা হয়েছে। যার মধ্যে শোভন চেয়ার ৯২টি, এসি কেবিনে চেয়ার আটটি ও এসি চেয়ার ১০টি। ফিরতি পথে (ঢাকা থেকে) এসি বার্থ চারটি, এসি চেয়ার ১০টি ও শোভন চেয়ার ৭০টিসহ মোট ৮৪টি। এ ছাড়া দর্শনা থেকে ঢাকাগামী ও ফিরতি পথের যাত্রীদের জন্য শোভন ৭০টি ও এসি চেয়ার পাঁচটি রাখা হয়েছে।

স্টেশনমাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে ট্রেনটি ঢাকায় যাওয়ার পথে বিকেল তিনটা ২৬ মিনিটে ও ফিরতি পথে সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ত্যাগ করে। প্রাথমিকভাবে ওই সময়টিকে যাত্রাবিরতির জন্য ধরা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা পর্যন্ত চিত্রা ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যে ভাড়া নেওয়া হয়, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ভাড়া তা-ই থাকছে। ভাড়া ঠিক করা হয়েছে শোভন চেয়ারে ৩৯০ টাকা, এসি চেয়ারে ৭৫০ টাকা ও এসি কেবিন চেয়ারে ৮৯২ টাকা। তবে এসি বার্থের ভাড়া এখনো জানা যায়নি।