Thank you for trying Sticky AMP!!

২৪ ঘণ্টায় তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩ জন

হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে রোগীদের ঠাঁই হয়েছে মেঝেতে। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল, যশোর, ১১ জুন

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। এদিকে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ২১। বর্তমানে এই ওয়ার্ডে মোট ৪১ জন ভর্তি আছেন। অথচ এখানে শয্যা মাত্র ১৯টি। হাসপাতালের মেঝেতেও রোগী রাখার জায়গা হচ্ছে না। এ ছাড়া করোনা ইউনিটে (রেড জোন) ৮০ শয্যার বিপরীতে ৬৪ জন ভর্তি আছেন।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহমেদ বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আইসোলেশন ওয়ার্ডে (ইয়েলো জোন) একের পর এক রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন এই ওয়ার্ডের। অপর দুজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ইউনিটে। হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডে বর্তমানে ৪৫০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন বলে তিনি জানান।

এদিকে জেলায় করোনা শনাক্তের হারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের ল্যাব ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ শতাংশ। গত ১৬ দিন ধরেই যশোরে করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনক।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, শনাক্তের হার উদ্বেগজনক। গতকাল ছিল শুক্রবার। ফলে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কম ছিল। এ কারণে শনাক্তের হারও কম।

এদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে যশোর ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।