Thank you for trying Sticky AMP!!

২৫ বছর আগে মারা যাওয়া শরিফুল ৯ দিন আগে করা মামলার পলাতক আসামি

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের শরিফুল ইসলাম ২৫ বছর আগে আত্মহত্যা করেছিলেন। সেই শরিফুলকে সম্প্রতি মাদকের একটি মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ১ মে দর্শনা থানায় মামলাটি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

দর্শনা থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি থানা-পুলিশ তদন্তে গেলে শরিফুলের মারা যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে মামলার বাদী ঝিনাইদহের মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) পক্ষ থেকে এটিকে অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে দাবি করা হয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধীন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী সীমান্তচৌকি। এর নায়েব সুবেদার নুরুল হকের নেতৃত্বে একটি দল গত ৩০ এপ্রিল রাতে চুয়াডাঙ্গা সদরের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের গাঙপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় ছয় বোতল ফেনসিডিলসহ বিলু খাতুন (৪৫) তাঁর ছেলে উজ্জ্বল (২৭) ও মো. নিজামকে (৫২) আটক করে।

অভিযানের সময় ছয়জন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে নায়েব সুবেদার নুরুল হক ১ মে দর্শনা থানায় মোট নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

বিজিবির দায়ের করা মামলায় আটক তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ ছাড়া পালিয়ে যাওয়া ছয়জনকে পলাতক আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এজাহারে শরিফুলের নাম চলে আসার ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজাহার সংশোধন করে আদালতকে জানানো হবে।
কামরুল আহসান, পরিচালক, বিজিবির মহেশপুর ব্যাটালিয়ন

ওই ছয়জন হলেন বিলু খাতুনের মৃত স্বামী শরিফুল ইসলাম, আকন্দবাড়িয়ার বাসিন্দা আকাশ (২৬), বাতাস (২২), বিপুল (৩৫), লিটন (৪০) ও সবুরা খাতুন (৪০)। তাঁরা পরস্পরের আত্মীয়।

মামলার তদন্ত করছেন দর্শনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ। তিনি প্রথম আলোকে জানান, তদন্তের জন্য তিনি সম্প্রতি আকন্দবাড়িয়া ও গাইদঘাট গ্রামে যান। শরিফুলের বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে তাঁদের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তখন হারুন অর রশিদ জানতে পারেন শরিফুলের জন্মস্থান গাইদঘাটে হলেও থাকতেন আকন্দবাড়িয়ায়। ২৫ বছর আগে তিনি পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন।

হারুন অর রশিদ বলেন, শিগগিরই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। সেখানে শরিফুলের মারা যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হবে।

আজ রোববার মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল আহসান জানান, এজাহারে শরিফুলের নাম চলে আসার ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজাহার সংশোধন করে আদালতকে জানানো হবে।