Thank you for trying Sticky AMP!!

২৮টি শিল্প কারখানা হবে আনোয়ারার সাদ-মুছা পার্কে

সাদ-মুছা শিল্পপার্কে কাজ করছেন শ্রমিকেরা। গত বুধবার দুপুরে আনোয়ারায়। প্রথম আলো

চট্টগ্রামের আনোয়ারা সদরে অবস্থিত সাদ-মুছা শিল্পপার্কে বর্তমানে ছয়টি কারখানায় কাজ করছেন পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক। শতভাগ রপ্তানিমুখী এই শিল্পপার্কে বাস্তবায়নের পথে আছে আরও আটটি কারখানা। পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে এই শিল্পপার্কে পূর্ণাঙ্গ চেহারা পেলে শিল্পকারখানার সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮টিতে। তখন সেখানে কর্মসংস্থান হবে অর্ধ লাখ শ্রমিকের।

গত বুধবার শিল্পপার্কটি পরিদর্শনে গিয়ে ওই তথ্য জানা যায়। সাদ-মুছা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১০ সালে আনোয়ারা সদরের পশ্চিম পাশে ২০০ একর জায়গায় শুরু হয় এ শিল্পপার্কের কার্যক্রম। এরপর ওই শিল্পপার্কে গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন কারখানা। বর্তমানে সেখানে চারটি সুতার ও দুটি কাপড়ের কারখানায় উৎপাদন চলছে। আর এসব কারখানায় নিয়োজিত আছেন পাঁচ হাজারের মতো শ্রমিক। শিল্পপার্ক বাস্তবায়নের পথে আছে আরও আটটি কারখানা। পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে গড়ে তোলা হবে ২৮টি শিল্পকারখানা।

কারখানা সূত্র জানায়, আনোয়ারার ওই শিল্পপার্কে বার্ষিক ৫০ মেট্রিক টন সুতা আর ১ লাখ ২০ হাজার মিটার কাপড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এখানে উৎপাদিত পণ্য বর্তমানে রপ্তানি হচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্স ও আমেরিকায়। রপ্তানির জন্য এই শিল্পপার্ক ২০০৯-১০ ও ২০১০-১১ অর্থবছরে পরপর দুবার সেরা রপ্তানি ট্রফি পেয়েছেন।

শিল্পপার্কে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকদের কেউ সুতা তৈরির যন্ত্র চালাচ্ছেন আর কেউ মান পরীক্ষা করছেন। আরেক কারখানায় কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন শ্রমিকেরা।

কারখানায় কর্মরত শ্রমিক নেয়ামত উল্লাহ বলেন, ‘ঘরের কাছে কারখানা হওয়ায় আমরা চাকরি পেয়েছি। সংসার চলছে। এলাকার বহু মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।’

নারী শ্রমিক নাজমা আকতার বলেন, ‘আনোয়ারায় কারখানা হওয়ায় আমাদের কর্মসংস্থান হয়েছে। দূরে গিয়ে হয়তো আমরা চাকরি করতে পারতাম না।’

এ ব্যাপারে সাদ-মুছা শিল্পপার্কের উপমহাব্যবস্থাপক জালাল উদ্দিন বলেন, শিল্পপার্কের ছয়টি বিভিন্ন কারখানা বর্তমানে উৎপাদনে আছে। আরও আটটি কারখানা চালুর পথে। পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে শিল্পপার্কটি পুরোদমে চালু হবে। তখন কারখানার সংখ্যা হবে ২৮টি। তিনি আরও বলেন, শতভাগ রপ্তানিমুখী এ শিল্পপার্ক পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে এলাকার মানুষের অনেক উপকার হবে আর সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের।

জানতে চাইলে শিল্পপার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মোহসিন বলেন, শুধু ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনাই নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আনোয়ারায় এ শিল্পপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। এটি হবে আনোয়ারাবাসীর স্বপ্নের ঠিকানা।

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, সাদ–মুছা কারখানা স্থাপনের কারণে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আরও অনেক শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে।