Thank you for trying Sticky AMP!!

৩৩৩ নম্বরে ফোন, ১০ দিনের খাদ্য এল বাড়িতে

পাঁচ সদস্যের পরিবার ফেরদৌস আক্তারের। ওদিকে স্বামী প্রয়াত হয়েছেন আগে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আর দশজনের মতো তিনিও আছেন বিপাকে। ঘরে খাবার নেই। সরকারি তথ্য সেবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেন ফেরদৌস আক্তার। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে খাবার নিয়ে বাড়িতে হাজির উপজেলা প্রশাসনের লোকজন। গতকাল বুধবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

ফেরদৌস আক্তার উপজেলার বুড়িশ্চর ইউনিয়নের খলির সারাং এলাকার বাসিন্দা। রাতে তাঁর বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন খাবারসামগ্রী দিয়ে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন।

ইউএনও মোহাম্মদ রুহুল আমীন প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ সদস্যের পরিবারটি খুবই অসহায়। ওই নারী ছাড়া পরিবারে উপার্জন কারার মতো কেউ নেই। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ দিনের খাবারসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফেরদৌস আক্তারের স্বামীর মৃত্যু হয়েছে দুই বছর আগে। এখন বৃদ্ধা শাশুড়ি, ছোট দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তাঁর পাঁচ সদস্যের সংসার। দৈনিক ১০০ টাকা মজুরিতে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতেন ফেরদৌস আক্তার। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণে এখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ। তাই ফেরদৌস আক্তারও বেকার হয়ে পড়েছেন। গত এক সপ্তাহ তিনি পরিবারের সদস্যদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না। এক বেলা খেলে, অন্য বেলা না খেয়ে কাটাতে হয়েছে। বুধবার এক বেলার জন্যও খাবার ছিল না বাড়িতে। আশপাশের লোকজনকে বললেও কেউ কোনো সাহায্যে নিয়ে এগিয়ে আসেনি।

এ অবস্থায় ফেরদৌস আক্তার এলাকার একজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা মিলতে পারে। তিনি মুঠোফোন থেকে ওই নম্বরে ফোন দেন। নিজের ও পরিবারের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন জানতে পারে রাত সোয়া আটটার দিকে। উপজেলা শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খলির সারাং গ্রাম। হাটহাজারীর ইউএনও রুহুল আমীন রাত পৌনে নয়টার দিকে সেখানে হাজির হয়ে যান। ফেরদৌস আক্তারের বাড়িতে গিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন খাবারসামগ্রী দিয়ে আসেন।

সহায়তা পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফেরদৌস আক্তার বলেন, এই খাবার দিয়ে তিনি ১০ দিন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। বিপদের সময়ে পাঁশে দাঁড়ানোয় তিনি ইউএনওর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।